এসপি বাবুল আক্তার পদত্যাগ করার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের পর নিজের ও সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে আলাপ করেছেন।
কারণ চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে জঙ্গি, মাদক ব্যবসায়ী এবং অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বাবুল আক্তার। তাই শত্রুর তালিকাও হয়েছে বেশ দীর্ঘ। বাবুল আক্তার ও তার নিকটাত্মীয়দের দাবি, ওই শত্রুরাই বাবুল আক্তার ও তার সন্ত্রানদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
বাবুল আক্তারের শাশুড়ি সাহিদা মোশাররফ বলেন, বাবুল আক্তার দায়িত্ব পালনকালে জঙ্গি দমন ও অন্যান্য অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এখন তার যদি চাকরি না থাকে তাহলে অতীতে বাবুল যাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে গিয়েছেন তারাই বাবুলের ক্ষতি করবে। আমরা বাবুল আক্তার ও তার দুই সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে খুবই শঙ্কিত।
Read More News
স্ত্রী খুনের পর থেকেই সন্তানদের নিয়ে ঢাকার রামপুরা শ্বশুরের বাসায় অবস্থান করছেন এসপি বাবুল আক্তার। ৩ আগস্ট বাবুল আক্তার পুলিশ হেডকোয়ার্টারে গিয়ে যোগদান প্রতিবেদন দাখিল করে বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করেন। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও চাকরিতে যোগ দিতে পারেনি বাবুল আক্তার।
গত ১৩ আগস্ট স্ত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে এবং দুই সন্তান নিয়ে বেদনাদায়ক একটি স্ট্যাটাস দেন বাবুল আক্তার। স্ট্যাটাস দেওয়ার পরই বাবুল আক্তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বাবুল আক্তারের চাকরিতে যোগদানের আর কোনো সুযোগ নেই। কারণ তিনি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। তিনি এই স্বাক্ষর দেন ২৪ জুন শুক্রবার। এরই মধ্যে তার পদত্যাগপত্র কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।