জান্নাতুল ফেরদৌস হুমায়রা নামের এক নারী চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের গেইটের বাইরে বসে বলছিলেন, আমার সন্তানকে বাঁচান।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, সদ্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তিনি। কথাগুলো বলার সময় ফুটে উঠেছিল আতঙ্ক আর অসহায়ত্ব। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।
ওই নারী জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে তার আড়াই বছরের শিশু সন্তানের (পুত্র) ঘুমের মধ্যে অলৌকিকভাবে খতনা হয়ে যায়। এরপর বিষয়টি নিয়ে তারা ডাক্তারের পরামর্শ নেন। ডাক্তার তাদের বলেন, এটা সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে হয়েছে, এতে তাদের কিছু করার নেই।
Read More News
এরপর বিষয়টি নিয়ে তাদের পরিবারে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। হুমায়রা ছিলেন মূলত হিন্দু। তার আগের নাম পূজা ভট্টাচার্য, পিতা শ্যামল ভট্টাচার্য। স্বামীর নাম বিজয় ভট্টাচার্য। নগরীর বায়েজিদ ওয়াপদা কলোনি এলাকায় তাদের পৈতৃক বাড়ি। তার স্বামীর বাড়ি হাটহাজারির কলেজ গেট নাপিত পাড়ায়। চার বছর আগে বিজয়ের সঙ্গে পূজার বিয়ে হয়। বিজয় পেশায় একজন বাস ড্রাইভার।
নিজের আড়াই বছরের পুত্রসন্তান এমন হওয়ার পর তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন ছেলেটিকে বাড়িতে রাখতে অপারগতা প্রকাশ করে। তারা শিশুসন্তানটিকে কোনো মুসলিম পরিবারের কাছে দিয়ে দেয়ার জন্য পূজার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। কিন্তু নিজের সন্তানের মায়া ত্যাগ করতে পারেননি তিনি। একপর্যায়ে সন্তানের জন্য তিনিও হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে গত ১৬ মার্চ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে তার নাম জান্নাতুল ফেরদৌস হুমায়রা। শিশুসন্তানের নাম ইয়াছিন আরাফাত। শিশুসন্তান নিয়ে নিজে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় স্বামী তাকে তালাক দেয়।
তালাকপ্রাপ্ত হয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হয়ে আসলে নিজের বাপের বাড়িতেও জায়গা হয়নি তার। এছাড়া তার স্বামী তাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন । হুমায়রা জানান, বর্তমানে সন্তান নিয়ে তিনি রীতিমত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। শিশুসন্তানকে মেরে ফেলবে বলে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে স্বামী।