আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে টহল পুলিশের ওপর বোমা হামলা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এতে দুই পুলিশ সদস্য, এক হামলাকারী, এক গৃহবধূসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পুলিশের সাত সদস্য ও তিন পথচারীসহ ১০ জন।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ১৪।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, আটক দুজন নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।
নিহত পুলিশ সদস্যের নাম জহুরুল হক ও আনসারুল। গৃহবধূ হলেন ঝরনা রানী ভৌমিক। হামলাকারীর পরিচয় জানা যায়নি।
Read More News
এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) নয়ন মিয়া, কনস্টেবল প্রশান্ত, জুয়েল, রফিকুল, তুষার, মশিউর ও আসাদুল। পথচারী তিনজন হলেন আবদুর রহিম, হৃদয় ও মোতাহার।
প্রাথমিকভাবে আহত সবাইকে কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে চারজনকে ময়মনসিংহের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের নিরাপত্তার দায়িত্বে আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে ছিলেন একদল পুলিশ সদস্য। সকাল ৯টার দিকে ঈদ জামাতে অংশ নেওয়ার জন্য মুসল্লিরা আসার সময় একদল দুর্বৃত্ত ৮-১০টি হাতবোমা নিক্ষেপ করে দ্রুত ঘটনাস্থল ছাড়ে। এতে পুলিশ সদস্যরা আহত হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক কনস্টেবল জহুরুল হককে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনা সামলে উঠে পুলিশ হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু হলে উভয় পক্ষে গোলাগুলি শুরু হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে এক হামলাকারী নিহত হয়। আহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক।