জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস ক্যাপ্টাগন নামের একটি অ্যাম্ফিটামিন স্নায়ু উত্তেজক ওই ট্যাবলেট খেয়ে দিনের পর দিন নির্ঘুম যুদ্ধের ময়দানে পড়ে থাকছে।
এর ফলে জঙ্গিদের উন্মত্ততা আরও বেড়ে যায় এবং মৃত্যুর পরোয়া না করে অন্যের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সিএনএনকে মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দা তদন্তে জানা গেছে সিরিয়ার জিহাদিরা মাদকাসক্তির মতো আসক্তি তৈরি করতে সক্ষম এমন একটি অ্যাম্ফিটামিন বড়ি খেয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়।
এর আগে, ২০১৪ সালে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ প্রচার করেছে সিএনএন। এতে এক আইএস জঙ্গিকে একটি বড়ি সম্পর্কে বিবরণ দিতে দেখা যায়। বড়িটি সম্ভবত ক্যাপ্টাগন নামের একটি অ্যাম্ফিটামিন বড়ি।
ওই ভিডিওতে কারিম নামের এক জঙ্গিকে বলতে শোনা যা্য়, তারা আমাদেরকে ওষুধ দেয়, যা খেয়ে আমাদের মস্তিষ্কে বিভ্রম তৈরি হয়। এরপরই আমরা আমাদের নিজের জীবনের পরোয়া না করেই যুদ্ধের ময়দানে চলে যাই।
জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধ বিভাগ জানিয়েছে, ১৯৮৭ সাল থেকেই অ্যাম্ফিটামিন নামের এই ওষুধটির উৎপাদন বেআইনী ঘোষণা করা হয়। এরপরও মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে অ্যাম্ফিটামিন এর প্রসার ঘটে। সৌদি আরব, সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও তুরস্কের ল্যাবগুলোতে বড়ি বানিয়ে এর বিক্রি শুরু হয়।
Read More News
লেবাননের মনোচিকিৎসক রামজি হাদ্দাদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ওষুধটি খেলে মানু্ষের দেহমনে এক ধরনের উদ্দাম ও সুখ সুখ ভাব সৃষ্টি হয়। ওষুধটি খাওয়ার পর লোকে বেশি কথা বলা শুরু করে, ঘুম হারাম হয়ে যায়, খাওয়া-দাওয়ার রুচি কমে গেলেও শরীরে ব্যাপক শক্তি অনুভূত হয়।