দূর্নীতি এই শব্দটি আমাদের দেশে বেশ ভাল ভাবেই পরিচিত। উক্ত এই শব্দটির কারণেই বর্হিবিশ্বে আমরা নানা কর্মকান্ডে পিছিয়ে। সবুজ রঙের পার্সপোর্টটি দেখলেই বর্হিবিশ্বে আমাদের মান আজ কমতির দিকে। গুটি কয়েক ব্যক্তির কারনে আমাদের এ অবস্থা, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সক্রিয় ভূমিকায় দেশ ও বর্হিবিশ্বে একটি অবস্থানে পৌছাতে আমরা সক্ষম হয়েছি। ঠিক সেই মুহূর্তে কিছু কূ-চক্রী মহল উক্ত কর্মকান্ডকে ধ্বংশের দ্বার প্রান্তে পৌছাতে লিপ্ত। সে রকম একজন দূর্নীতিবাজ বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান।
বাংলাদেশ ব্যাংক গর্ভনরের সীমাহীন দূর্নীতি:
পরিচিত জনদের মধ্য থেকে অনেক পুরুষ-মহিলাকে দৈনিক মজুরি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে যাদের দৈনিক মজুরী ৩৫০ টাকা। এ মজুরীর পাশাপাশি তাদেরকে দৈনিক মজুরী ২০০ টাকা হারে লাঞ্চ ভাতা দেয়া হয়। গভর্নর সাহেবের বাসায় ৪-৫ জন কাজের মহিলাসহ ব্যাংকের সকল নির্বাহীগণের বাসার কাজের মহিলাকে মজুরীসহ লাঞ্চ ভাতা দেয়া হয়।
Read More News
ড্রাইভারদেরকে ওভার টাইম ভাতাসহ দৈনিক ৫০ টাকা হারে টিফিন ভাতা ও ২০০ টাকা হারে লাঞ্চ ভাতা দেয়া হয়।
ছোট খাট যেকোন ‘ক্রয়-মেরামত’ কাজে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ‘টেন্ডার’ ডাকা হয়। এসব টেন্ডার ওপেনিং কমিটি, মূল্যায়ন কমিটি ইত্যাদিও সদস্যগণকে হাজার হাজার টাকা সন্মনী দেয়া হয়। তাছাড়া অহেতুক যেকোন কাজে কমিটি তৈরি করে হাজার হাজার টাকা সন্মানী দেয়া হয়।
ডিডি-জেডি পদে শত শত প্রমোশন দিয়ে ব্যাংকের আর্থিক ক্ষতি করা হয়েছে। তাছাড়া শত শত প্রোমশনের ফলে নীচে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি ডিজিএম-জিএম প্রোমশন দিয়ে ব্যাংকের আর্থিক ক্ষতি করা হচ্ছে। যা নাকি নিয়ম বর্হিভূত?
গভর্নর সচিবালয়ের সবাইকে বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে। গভর্নরের পছন্দের অনেক কর্মকর্তা যেমন- সাইফুল (ডিজিএম), মেজবা (ডিজিএম), ওসমান গণি (জেডি) এরূপ অনেককে ঢাকার বাইলে বদলী করা হলেও অদৃশ্য কারণে পূর্বের অবস্থানে রেখে অবৈধ ভাবে আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে?
মাহফুজুর রহমান নামে একজন (ইডি)কে বিভিন্ন অনৈতিক ও আর্থিক সুবিধা দেয়া হয়েছে। উক্ত ‘ইডি’ সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে বয়স কমিয়ে ১ বছর বেশি চাকুরী করতঃ বেতনের সঙ্গে বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা গ্রহন করেছে। উক্ত ব্যাপারে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, কমিটির রিপোর্ট অদ্যবধি গভর্নর ক্ষমতার অপব্যবহার করে না ফেরার দেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি এখন পিআরএল তবুও গভর্নর তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যায় এবং বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা দেয়।
চাকুরীতে যোগদান করার সাথে সাথে এডিদেরকে গ্রুপ করে বিদেশে ট্রেনিং এ পাঠায়; এরা অনেকে চাকুরী ছেড়ে চলে যায়। ফলে ব্যাংকের আর্থিক ক্ষতি হয়।
গভর্নর সফর সংগী হিসেবে রিপোর্টারদেরকে ঢাকার বাইরে নিয়ে যায় যাদেরও বিমান ভাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বহন করা হয়।
কয়েকদিন আগে সিলেটের বাহুবলে এক ণ খেলাপির হোটেলে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের শতাধিক কর্মকর্তাদের নিয়ে ৪ দিন প্রমোদ অনুষ্ঠান করেন।
ব্যাংক খালি করে ১৫০০-১৬০০ কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়ে রাজশাহীতে এক সপ্তাহ স্পোর্টস করে ব্যাংকের বিপুল টাকা খরচ করেন।
গভর্নর প্রায়ই বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে যান। এর কয়েকদিন পরে ঐ প্রতিষ্ঠানে একটি বড় অনুদান দেয়া হয়।
আইএফআইসি, ইষ্টার্ন, ইউসিবি ব্যাংকের এমডিরা ‘ক্ষমতাধর গভর্নরের’ খুব ঘনিষ্ঠ বলে এদের সকলের অন্যায় অনিয়ম চলে যায় না ফেরার দেশে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩০ তলা ভবনে প্রতি ফ্লোরে মোজাইক উপর টাইলস লাগানো হয়েছে। এতে এর লোড বেড়ে গেছে। টাইলস এর নামে এভাবে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
৬০০০ টাকা দামের কয়েক হাজার আইপি ফোন কেনা হয়েছে প্রতিটি ২৬০০০ টাকা দরে। ৩০০০০ টাকা দামের কয়েক হাজার ল্যাপটপ কেনা হয়েছে প্রতিটি ৮৫০০০ টাকা দরে।
ইনটেরিয়র ডেকরেমনের নামে কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
ব্যাংক কম্পাউন্ডে গ্যারেজ টাইলস বসিয়ে কোটি কোটি খরচ করা হয়েছে। কিন্তু ঐ টাইলস ইতোমধ্যে ভেঙ্গে চুরমার।
ভবনে অষ্ট্রেলিয়ার তৈরি কয়েক কোটি লাইট লাগানো হয়েছে যা এশিয়া মহাদেশের কোথাও ব্যবহার করা হয় না। বাংলাদেশ ব্যাংকের টীম পাঠানো হয়েছে অষ্ট্রেলিয়ার উক্ত লাইট তৈরির কারখানা ভিজিটে এবং ব্রাজিলে পাঠানো হয়েছে উহার ব্যবহার দেখতে। বিশেষ ভাবে উল্লেখ থাকে যে, উপরে উল্লেখিত বিষয় বস্তু পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন গভর্নর এধরনের কর্মকান্ড করেন নি। প্রশ্ন থাকে যে, অদৃশ্য কোন ক্ষমতার বলে বর্তমান গভর্নর উক্ত কর্মকান্ড কি ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে?