ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে ২০০ কিমি দূরের রাজস্থান রাজ্যের ভরতপুরে খকরানাগলা গ্রাম। জয়পুর রাজপ্রাসাদের পাশ ঘেঁষে থাকা এই গ্রামে বাস করে বেদিয়া বংশের লোকেরা। আর এই পুরো সম্প্রদায়ের পেশাই যৌনকর্ম। বেদিয়া বংশে মেয়ে হয়ে জন্মালে তাকে হতেই হবে যৌনকর্মী। এই গ্রামে মেয়েরা বংশপরম্পরায় যৌনকর্মের পেশা গ্রহণ করে।
অনেককাল আগে থেকেই বেদিয়া এবং নাট উপজাতির মেয়েরা ছিলেন রাজস্থানের নর্তকী। রাজা‚ সামন্তপ্রভু এবং অভিজাতদের মনোরঞ্জন করতে হতো তাদের।
কালের আবর্তে লোপ পেয়েছে রাজতন্ত্র এবং জমিদারি প্রথা। পেশাদার নর্তকীর কাজ হারিয়েছেন অতীতের নাচনেওয়ালিরা। কিন্তু সম্মান ফিরে আসেনি তাদের জীবনে। দেহ বেচাই যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের নিয়তি। আর সেই অনুযায়ী কিশোরীবেলা থেকেই শুরু হয়ে যায় এর প্রস্তুতিপর্ব।
Read More News
এই খকরানাগলা গ্রামের কেউ এখনো পর্যন্ত সরকারি চাকরি পাননি। গ্রামে নেই একটি স্কুলও। আর তাই সমাজের মূলধারা থেকে বিচ্যুত বেদিয়াদের কাছে অধরাই থেকে যাচ্ছে শিক্ষার আলো।
সেখানেও মেয়েরা ঐতিহ্য মেনে যৌনকর্মী হয়। সড়কের দুই পাশে দোকানে মজুত থাকেন মেয়েরা। কিশোরী থেকে মধ্যবয়সী। চাইলেই পাওয়া যায় তাদের সেবা।
বংশানুক্রমিকভাবে পঙ্কিল আবর্তেই পড়ে থাকতে হচ্ছে ওই অঞ্চলের নারীদের। এদের মুক্তি হবে কবে সরকারই ভাল জানেন।