মিয়ানমারের রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশে আরোপ করা জরুরি অবস্থা তুলে নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন।২০১২ সালে বার্মার পশ্চিমাঞ্চলীয় এই রাজ্যটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ এবং সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতার সময় এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল।
Read More News
এসময় ২০০-রও বেশি লোক নিহত হয়, এবং প্রায় এক লক্ষ ৪০ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয় – যারা ছিল প্রধানত রোহিঙ্গা মুসলিম।
বাস্তুচ্যুত এই লোকদের অনেকেই ঘরে ফিরতে পারে নি। তাদের মৌলিক অধিকার বঞ্চিত অবস্থায় শরণার্থী শিবিরে দিন কাটাতে হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ক্ষমতা থেকে বিদায় নিচ্ছেন বুধবার। তার ক্ষমতা ছেড়ে দেবার আগে এটি হচ্ছে তার শেষ পদক্ষেপগুলোর অন্যতম।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, জরুরি অবস্থা উঠে গেলেও তা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জীবনে কি পরিবর্তন আনবে তা স্পষ্ট নয়।
একজন বৌদ্ধ নারীর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা থেকে ২০১২ সালের ওই দাঙ্গার সূত্রপাত হয়েছিল।
রাখাইন রাজ্যের এই রোহিঙ্গা মুসলিমদের বার্মায় পূর্ণ নাগরিকত্ব দেয়া হয় না, কারণ তাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী বলে মনে করা হয়।
দেশটিতে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদের কারণে তাদের আরো বেশি বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে।
জাতিসংঘও ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিপীড়িত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী বলে আখ্যায়িত করেছে।
গত বছর হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়া যাবার জন্য নৌকায় করে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে আন্দামান সাগরে আটকা পড়ে – যে ঘটনা বৈশ্বিক সংবাদ মাধ্যমে বড় খবর হয়।
বার্মায় বুধবার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিচ্ছেন থিন কিয়াও।এর আগে নভেম্বর মাসের নির্বাচনে অং সান সুচির এনএলডি বিপুল ভোটে জয়ী হয়।
প্রেসিডেন্টের ঘোষণায় বলা হয়, রাখাইন রাজ্য সরকারের মতে এখন সেখানকার জনগণের জীবনের প্রতি কোন হুমকি নেই।
জরুরি অবস্থার উঠে গেলে রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনীকে আর প্রতিদিনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে না।
– বিবিসি