বিবিসি রেডিওকে দেয়া সাক্ষাতকারের সময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সাং সু চি। নতুন প্রকাশিত একটি বইয়ের বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, বিবিসি টুডের সঞ্চালক মিসাল হুসাইনকে দেয়া সাক্ষাতকারের সময় সু চি রেগে গিয়ে বলতে থাকেন, ‘আমাকে কেউ বলেনি, একজন মুসলমান আমার সাক্ষাতকার নিবে’।
তবে সু চির এই সাম্প্রদায়িক মন্তব্য প্রচার করা থেকে বিরত থাকে বিবিসি। মিয়ানমারে মুসমানবিদ্বেষী মনোভাবের নিন্দা জানাতে মিসাল হুসাইন সু চি-কে আহ্বান জানালে মেজাজ হারান তিনি। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির নেতা সু চি গত ৮ নভেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়।
Read More News
পিটার পপহ্যামের লেখা, ‘দ্য লেডি এন্ড দ্য জেনারেলস: অং সাং সু চি এন্ড বার্মাস স্ট্রাগল ফর ফ্রিডম’ বইয়ে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই নেত্রীর এমন সাম্প্রদায়িক মনোভাবের কথা প্রকাশ করা হয়েছে। আর পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ৪৩ বছর বয়সী মিসাল হুসাইন বিবিসি রেডিও-৪ এর টুডে অনুষ্ঠানের প্রথম মুসলমান সঞ্চালক।
সাক্ষাতকার চলাকালে সু চি-কে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের নিন্দা জানাতে মিসাল বার বার আহ্বান জানালেও তা অস্বীকার করেন দীর্ঘদিন গৃহবন্দী থাকা এই নেত্রী। এর জবাবে সু চি বলেন, ‘অনেক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন কারণে এই দেশ ছেড়ে চলে গেছেন… স্বৈরাচারী শাসনের ফলাফল এটি।’
২০১২ সালে সাম্প্রদায়িক সংঘাত শুরু হওয়ার পর পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। সেখানে গণহত্যার নিশ্চিত প্রমাণ থাকার কথা জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে আসছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পক্ষ না নেয়ায় সু চির তীব্র সমালোচনা রয়েছে।