দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ জন মারা গেছেন। এদিকে দেশে চলছে সাতদিনের শিথিল ‘লকডাউন’। যা রোববার (১১ এপ্রিল) শেষ হবে। এ লকডাউনের শুরুতে ১১ দফা নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দূরপাল্লার বাস আর পর্যটনকেন্দ্র ছাড়া এখন সবই খোলা। এর মধ্যে শুক্রবার ঘোষণা দেওয়া হয়, ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউন’।
এমন পরিস্থিতিতে মাঝের দুদিন অর্থাৎ ১২ ও ১৩ এপ্রিল কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই দুইদিন কি সব স্বাভাবিক চলবে, না কি বর্তমান অবস্থা এর মতো চলবে, তা জানে না কেউ।
Read More News
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, এমনিতেই মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। সরকার ঢিমেতালে চলছে। ফলে এই দুইদিন স্বাভাবিক রাখার কোনো কারণ নেই। অন্তত বর্তমান অবস্থার মতো রাখতে হবে। অন্যথায় হাজারো মানুষ ছুটবে গ্রামের দিকে, দ্বিগুণের বেশি ভিড় বাড়বে শহর আর শপিংমলে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, মাঝের দুদিন কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামীকালের (১১ এপ্রিল) মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
আর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান অবস্থার মতোই ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলার কথা বলা হতে পারে।
এদিকে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভায় মতামত এসেছে, অন্তত দুই সপ্তাহ যাতে পূর্ণ লকডাউন দেওয়া হয়। পাশাপাশি সংক্রমণপ্রবণ ৬টি জেলায় সেটা জোরালো করার বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, আগামী ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) থেকে ৭ দিন পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করা হবে লকডাউন। লকডাউনের বিষয়ে আগামী রোববার (১১ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এবারের লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।