আগামী ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) থেকে ৭ দিন পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করা হবে লকডাউনের নির্দেশনা। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন শুক্রবার জানিয়েছেন, লকডাউনের বিষয়ে আগামী রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এবারের লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ থাকবে। মানুষ বাঁচাতে এর (লকডাউন) বিকল্প নেই।
এদিকে, কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ১৪ দিনের লকডাউনের সুপারিশ করেছে।
গতবছর করোনার সংক্রমণ কিছুটা আটকে রাখা গেলেও এ বছর কিছুতেই প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া থামানো যাচ্ছে না। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এ কারণে প্রথমে ১৮ দফা নির্দেশনা পরে সেই আলোকে ৭ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। কিন্তু এসব বিধি-নিষেধ মানতে জনগণের মাঝে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। এরমাঝেই এলো নতুন করে আরও সাতদিনের লকডাউনের ঘোষণা।
Read More News
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে তাতে মানুষকে বাঁচাতে হলে কঠোর লকডাউনে যেতেই হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই ১৪ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউনে যাচ্ছি। এবারের লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। অফিস-আদালত, কলকারখানাও খুলবে না। কঠোর লকডাউন ছাড়া মৃত্যুর হার কমানো যাবে না। করোনাও রোধ করা যাবে না। আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। তাই আমরা কড়া লকডাউনে যেতে বাধ্য হচ্ছি।
এদিকে মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৬৩ জন মারা গেছেন বলে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৫৮৪ জনে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দেশে রেকর্ড সংখ্যক ৭৪ জনের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৪৬২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ জনে। এর আগে গত বুধবার (৭ এপ্রিল) দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।