নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে এমভি সাবিত আল হাসান লঞ্চকে ধাক্কা দিয়ে ৩৫ জনকে হত্যার ঘটনায় এমভি এসকেএল-৩ নামের কার্গো জাহাজটিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। এরপর বদলে ফেলা হয় কার্গোর রং। আজ বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদী থেকে জাহাজসহ ১৪ জন কর্মীকে আটক করা হয়। জাহজ ও আটকৃতদের নৌ-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গজারিয়া নৌ পুলিশের স্টেশন অফিসার মো. আব্দুস সালাম জানান, আটককৃত জাহাজসহ ১৪ জন স্টাফকে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।
কোস্টগার্ড পাগলা স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আশমাদুল ইসলাম বলেন, যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে ধাক্কা দেওয়ার পর দ্রুত কার্গো জাহাজটি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় চলে যায়। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর ঝড় শুরু হয়। কিন্তু ঝড়ের মধ্যেও কার্গোটি থামেনি। দ্রুত গতিতে কার্গোটি পালাতে থাকে। এরপর আটক ঠেকাতে কার্গোটির রং দ্রুততম সময়ের মধ্যে বদলে ফেলা হয়। বদলে ফেলা কার্গোটি গজারিয়ার কোস্টগার্ড স্টেশনের কাছাকাছি নোঙর করে রাখা হয়। ধাক্কা দেওয়া কার্গোটির নাম এমভি এসকেএল-৩, যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর এম-০১-২৬৪৩। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাহাজটির মালিক বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসকে লজিস্টিকস।
Read More News
এদিকে, নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার সৈয়দপুর কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবিতে ৩৫ জন নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপপরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে সৈয়দপুর কয়লাঘাট এলাকায় কার্গো জাহাজ এসকেএল-৩ ধাক্কা দিয়ে এমভি সাবিত আল হাসান লঞ্চকে অর্ধশত যাত্রীসহ ডুবিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। কেউ কেউ সাঁতরে তীরে উঠে প্রাণে বাঁচেন। তবে এ ঘটনায় শেষ পর্যন্ত ৩৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।