গত এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগী। আইসিইউতে খালি নেই শয্যা। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি জমায়েত পরিহার করার তাগিদ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ২৬ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৫৭১ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৭৩ জনের শরীরে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্ত দাঁড়াল ৫ লাখ ৫৯ হাজার ১৬৮ জন।
Read More News
চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি দেশে করোনার সংক্রমণ নেমে আসে ২ দশমিক দুই ছয় শতাংশে যা ছিল এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর ২৪ দিন পর অর্থাৎ ৯ মার্চ বিপজ্জনক সীমা অতিক্রম করে পৌঁছে যায় ৫ দশমিক এক তিন শতাংশে। এর দুদিন পর ৬ শতাংশ পার হয়ে সর্বশেষ রোববার ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
এর প্রভাব স্পষ্ট রাজধানীর কোভিড হাসপাতালগুলোতেও। ফেব্রুয়ারির পর থেকে কোভিড রোগী ১০-১৫ শতাংশ বেড়েছে। সাধারণ শয্যা ফাঁকা থাকলেও পূর্ণ কেবিন। খালি নেই একটি আইসিইউ শয্যাও।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নাজমুল হক বলেন, এক সপ্তাহ বা দশ দিনের কথা বললে আমরা ক্রিটিক্যাল রোগী পেয়েছি। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় খারাপ রোগীগুলো আমরা পাচ্ছি।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরও। হাসপাতালগুলোকে নতুন করে প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানালেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। রোগ নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধে যে ধরনের শিষ্টাচার ছিল; সেটা গত কয়েক মাসে মানুষ ভুলে গিয়ে এক ধরনের উৎসবে মেতেছিল। এর প্রভাবটা এখন দেখতে পাচ্ছি।
এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। টিকা নেয়ার পরেও অনেকে সংক্রমিত হওয়ায় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার জোর তাগিদ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।