অভিজ্ঞ অধিনায়ক, চরম উত্তেজনার মুহূর্তে যখন শেষ বাজিটা ধরলেন অনভিজ্ঞ হার্দিক পান্ডের ওপর। তখন কপালে ভাঁজটা পড়েছিল অনেকেরই। ফয়সলাটা যখন এক বলের হিসেব নিকেষে এসে দাঁড়াল, ঠিক তখনই, হার্দিকের দিকে এগিয়ে এলেন ধোনি। গ্যালারিতে তখন টেনশনের মুহূর্ত গুণছেন সবাই। ঠিক তখনই হার্দিকের কানে কানে কিছু একটা বললেন মাহিন্দ্র সিং ধোনি। তারপর সেই একই রকম প্রতিক্রিয়ায় শূন্য বরফ কঠিন মুখ করে উইকেটের পিছনে গিয়ে দাঁড়ালেন। সবাইকে চমকে দিয়ে খুলে ফেললেন হাতের গ্লাভসটা। হার্দিকের বলটা পিচে পড়ে হালকা গতি হারিয়ে ছুটে এল শুভাগত হোমের দিকে। ব্যাটে বলে হল না। রান নিতে ছুট লাগালেন শুভাগত। উল্টো দিক থেকে দৌড় শুরু করলেন নন স্ট্রাইকার মুস্তাফিজুর। দৌড়লেন ধোনিও। মুস্তাফিজুরের ব্যাট লাইন ছোঁয়ার আগেই ধোনির ক্ষিপ্রতায় ছিটকে গেল স্ট্যাম্প। আউট মুস্তাফিজুর। অনভিজ্ঞ হার্দিকের কানে মিনিট খানেকের মন্ত্রণা সঙ্গে শতাব্দীর অন্যতম সেরা রান আউট। এবারের মত শেষ করে দিল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সব স্বপ্ন। কিন্তু ধোনি ঠিক কী বলেছিলেন হার্দিকের কানে কানে? রহস্যটা ফাঁস করলেন স্বয়ং ভারত অধিনায়ক। সংবাদ সম্মলনে এসে তিনি বলেন, ‘‘হার্দিককে বলেছিলাম, টেনশন করো না, আর শেষ বলে কোন মতেই ইয়োর্কার দিও না।’’ অধিনায়কের ভরসার মর্যাদা রেখেছেন হার্দিক। টি-২০ ক্রিকেটের অন্যতম উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে তাঁর শেষ ওভারেই এল তিনটে উইকেট। হ্যাঁ, শেষ বলে ইয়োর্কারের পথেও হাঁটেননি তিনি। আর তার ফলাফল? আপাতত ক্রিকেট রূপকথার সঙ্গি।
Read More News