সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বিমানবন্দরে আটকেপড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ১০৪ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই প্রবাসীরা ৭৪ ঘণ্টা দুবাই বিমানবন্দরে অবস্থান করেন, এ সময় তাদের খাবারও দেওয়া হয়নি। রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় ও ১০টায় ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্সের দুটি ফ্লাইটে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্সে করে এ যাত্রীরা দুবাই এয়ারপোর্টে পৌঁছালে আইসিএ অ্যাপ্রুভাল জটিলতায় দেশটির অভ্যন্তরে প্রবেশের অনুমতি মেলেনি তাদের। করোনাকালীন সময়ে বিমান যাত্রীদের জন্য আমিরাত সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়মের শতভাগ পূরণ না হওয়ায় তাদের বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়।
এক যাত্রী জানান, ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে ফ্লাই দুবাইয়ের টিকিট করেন তিনি। দেশত্যাগের আগেও তাদের ‘ভিসা স্ট্যাটাস’ এ সবুজ সংকেত ছিল না। অনলাইনে ভিসা স্ট্যাটাস লাল থাকার কারণেই তাদের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আটকে দেয়।
Read More News
প্রতারিত হয়ে ফিরে আসা প্রবাসীরা জানান, ৫৫ জন ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও বাকি ৪৯ জন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। তারা দুই দিন দুবাই অভিবাসন পুলিশের কারাগারে ছিলেন। সেখানে তাঁদের খাবার দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
সন্ধ্যায় ঢাকায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ফ্লাই দুবাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রবাসীরা। ৩৯ জন প্রবাসী এতে স্বাক্ষর করেন।
সিভিল এভিয়েশন এবং এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ আমিরাত সরকারের নতুন নিয়ম সম্পর্কে না জানার কারণে যাত্রীদের এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে ফেরত যাওয়া যাত্রীদের ফের আমিরাতে ফেরাতে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন প্রবাসীরা।
এ বিষয়ে রোববার রাত আটটার দিকে ঢাকা বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, প্রবাসীরা এখানেই আছেন। সবকিছু যাচাই করে দেখা হচ্ছে। উড়োজাহাজ প্রতিষ্ঠান ফ্লাই দুবাইয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ডাকা হয়েছে। ফ্লাই দুবাইয়ের দায় পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।