অ্যাম্বুল্যান্সেও সুশান্ত জীবিত ছিল

ক্রমশ জটিল হচ্ছে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্ত। প্রতিদিন সামনে আসছে নয়া তথ্য। তদন্তের কিনারা করতে সুশান্তের সংস্পর্শে আসা নানা মানুষজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারী দল।

এবার মুখ খুললেন সেই অ্যাম্বুল্যান্স চালক যিনি সুশান্তের মৃতদেহ তাঁর বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে কুপার হাসপাতালে নিয়ে যান।
Read More News

অক্ষয় ভান্ডগর নামে সেই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের অভিযোগ, অজানা নম্বর থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০০-র বেশি ফোন আসছে। প্রতিটি ফোনেই কেউ বা কারা তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন। অনেকে আবার নাকি ফোন করে এও বলেছেন, তাঁর দোষেই সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে ৷ অ্যাম্বুল্যান্স দেরি করে নিয়ে আসার জন্যই সুশান্তের এই পরিণতি হয় ৷

অক্ষয় ভান্ডগর নামে সেই অ্যাম্বুল্যান্স চালক ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, আত্মহত্যায় মৃত্যু হয়েছে এমন বহু দেহ তিনি দেখেছেন! সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁর বদ্ধমূল ধারনা, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে সুশান্তকে।

অক্ষয় ভান্ডগর জানান, যখন অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছায়, সুশান্তের দেহ সাদা কাপড়ে মোড়া হয়ে গিয়েছিল। ঘটনাস্থলে ছিল মুম্বই পুলিশ। অ্যাম্বুল্যান্সের কর্মীরা অভিনেতার ঘর থেকে দেহ স্ট্রেচারে করে নামিয়ে গাড়িতে তোলেন। উল্লেখ্য, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সুশান্ত অনুরাগীরা ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলছেন! তাঁদের বক্তব্য, আত্মহত্যার ক্ষেত্রে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করতে পারেন। এক্ষেত্রে তা হয়নি। কাজেই, মুম্বই পুলিশ যে প্রমাণ নষ্টের চেষ্টা করেনি, সেটা কে হলফ করে বলতে পারে?

অ্যাম্বুল্যান্স চালক জানান, সুশান্ত সিং রাজপুতের গোটা দেহ হলুদ হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, সাধারণত কেউ আত্মহত্যা করলে, শরীর হলদে হয় না। যদিও বা হয়, আগাগোড়া দেহ কখনওই হলদে হয় না।

সুশান্তের হাঁটু মোড়া ছিল। অক্ষয় ভান্ডগরের ভাষায়, আত্মরক্ষার জন্য যখন কেউ হাত-পা চালান, লাথি মারার চেষ্টা করেন, তখন তাঁর পা যেভাবে মোড়া থাকে, সেভাবে মোড়া ছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের পা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যে মানুষ সিলিং থেকে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন, তাঁর পা মোড়া থাকবে কেন? কীভাবেই বা তা সম্ভব ?

অক্ষয় ভান্ডগর আরও জানান, সুশান্তের পায়ের নানা জায়গা থেঁতলে গিয়েছিল। তাঁর প্রশ্ন, ”গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুললে গোটা শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার দাগ থাকে। সুশান্তের ক্ষেত্রে তেমনটা ছিল না। শুধুমাত্র পায়ের নানা স্থানে দগদগে ক্ষত ছিল! এ’টা কীভাবে সম্ভব ? দেখে মনে হচ্ছিল কেউ খুব জোরে পায়ে আগাত করেছে।” থাকতে পারে না! মনে হচ্ছিল কেউ যেন পায়ে মেরেছে।

তিনি এও বলেন, সুশান্তের গলায় একটা ইংরেজি হরফ ‘0’-এর মত দাগ ছিল। কিন্তু কেউ যদি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন, তবে গোটা গলাজুড়ে দাগ থাকে। হতে পারে হয়তো গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করা হয়েছে সুশান্তের, তারপর হয়তো তাকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুললে মুখ দিয়ে গেঁজলা বের হবে, সুশান্তের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *