সপরিবারে মুম্বই ছেড়ে গায়েব রিয়া চক্রবর্তী

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর গত সপ্তাহেই রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর করেছেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং। এরপরই বিহার তদন্তকারীদের একটি দল আসেন মুম্বইতে। নোটিশও পাঠানো হয় রিয়াকে। কিন্তু বিহার পুলিশ জানিয়েছিলেন কিছুতেই তাঁরা রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এখন শোনা যাচ্ছে তিন দিন আগেই মধ্যরাতে বড় বড় স্যুটকেস সহ অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে বেরিয়ে যান চক্রবর্তী পরিবার।

রিয়ার আবাসনের ম্যানেজার একটি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে জানান, রিয়ারা ওই অ্যাপার্টমেন্টটি খালি করে দিয়েছেন। রিয়া তাঁর মা, বাবা, ভাইকে নিয়ে তিনদিন আগেই মধ্যরাতে একটি নীল গাড়িতে করে চলে যান। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সুশান্ত মাঝেমধ্যেই এই ফ্ল্যাটে আসতেন।
Read More News

সুশান্তের গার্লফ্রেন্ড রিয়া চক্রবর্তীকে তাঁরা এখনও পর্যন্ত জিগ্গাসাবাদই করতে পারেননি। কারণ, রিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশের নাগালের বাইরে তিনি। কিন্তু কেন? এ প্রশ্নই তুলেছেন বিহার পুলিশের তদন্তকারীর দলের সদস্যরা। তাঁদের কথায়, ‘যদি রিয়া কিছুই না করে থাকেন তবে তাঁর এই লুকোচুরি খেলা বন্ধ করা প্রয়োজন এবং পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসা উচিত।’ বিহার পুলিশের ডিজি গুপ্তেশ্বর পান্ডে এদিন মিডিয়ার সঙ্গে আলোচনার সময় এমনই দাবি করেছেন। পুলিশ তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে চায় বলে দাবি পুলিশের।

এরমধ্যেই রিয়া একটি ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, আমার ভগবান এবং বিচার ব্যবস্থার উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি আমি সুবিচার পাবই। আমার বিরুদ্ধে ভয়ংকর সব কথা বলা হচ্ছে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়। বিষয়টি আমার বিচার বিভাগীয় হওয়ায় আমি আমার আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকি। সত্যমেব জয়তে, সত্য বিরাজ করবে।

সুশান্তের মৃত্যুর কারণ খুঁজতে হন্যে হয়ে রয়েছেন তাঁর ভক্ত ও প্রিয়জনেরা। কী কারণে এমন মানসিক অবসাদ এবং এই মৃত্যুর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা তা নিয়ে নানামহলে প্রশ্ন উঠছে। সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার খবরে শিউড়ে উঠেছে গোটা দেশ। অভিযোগ উঠেছে, এই মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তাবড়দের প্রভাব এবং তাঁদের প্রভাবশালী তকমার জোর।

গত প্রায় এক মাস ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় #বয়কট বলিউড, #ডোন্ট ওয়াচ স্টার কিডস ফিল্ম– এ জাতীয় স্লোগান ট্রেন্ডিং। অবসাদ না কাজের অভাব, দুইয়ের সাঁড়াশি চাপেই কি মাত্র ৩৪-এ ফুরিয়ে গেলেন প্রতিভাবান অভিনেতা? উত্তর এখনও অজানা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *