রাজধানীর ধানমণ্ডিতে অবস্থিত পপুলার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে এক ব্যক্তি হাসপাতালে অতিরিক্ত টাকার বিলের কথা জানান। ফোন পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেখতে পায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া এক রোগীর স্বজনকে দুই লাখ ৩১ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে ভূতুড়ে ওই বিল কমিয়ে ৭০ হাজার টাকা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
Read More News
সূত্র জানায়, ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের এক ব্যক্তি সকালে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। তিনি জানান, তাঁর চাচা পঞ্চাশ বছর বয়সী শাহজাহান অ্যাজমার রোগী। ১৬ জুলাই তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করান। হাসপাতালে তাঁর চাচার কভিড টেস্ট করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তা সত্ত্বেও ইসিজি, এক্স-রেসহ বিভিন্ন টেস্ট করায় কর্তৃপক্ষ। বলা হয়, তাঁর চাচাকে করোনা রোগীদের সঙ্গে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
অভিযোগকারী আরো বলেন, গতকাল সকালে হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয় যে তাঁর চাচা বেঁচে নেই। হাসপাতালে গেলে তাঁকে দুই লাখ ৩১ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই টাকা পরিশোধ না করলে মরদেহ নিতে দেওয়া হবে না এবং হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। বিষয়টি ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ ধানমণ্ডি থানাকে অবহিত করলে থানার পুলিশের একটি দল হাসপাতালে যায়।
ধানমণ্ডি থানার এসআই বলেন, ‘হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করে বিলের বিষয়টি জানতে পারি। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগীর কাছ থেকে সংশোধিত বিলের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা নেয়। রোগীর পক্ষে আগে জমা দেওয়া ৫৫ হাজারের সঙ্গে ১৫ হাজার টাকা মিলে ৭০ হাজার টাকায় সমস্যার সমাধান হয়।’