দেশে নতুন করে আর কোনো কোভিড হাসপাতাল চালু হবে না। রোগী না থাকায় প্রাথমিকভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আগামী ২ সপ্তাহ পর্যবেক্ষণের পর বর্তমান হাসপাতালগুলোতে বিশেষায়িত সেবাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যদিও চিকিৎসা নিতে আসা মানুষের দাবি, এখনও শয্যা সঙ্কটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। আর তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত না নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
দেশে নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ২০ ভাগের নিচে নামেনি এখনও। এমন সময়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দাবি, সরকারি-বেসরকারি ২৮টি কোভিড হাসপাতালে অর্ধেক আইসিইউ এবং দুই-তৃতীয়াংশ শয্যা খালি। আর তাই নতুন করে কোন কোভিড হাসপাতাল চালু না করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে অধিদফতর। এমনকি রাজধানীর ডিএনসিসি মার্কেট ভবনে প্রস্তাবিত ১৫শ’ শয্যার কোভিড হাসপাতালটিও চালু হচ্ছে না।
Read More News
অধ্যাপক বেনজির আহমেদ বলেন, কোভিড হাসপাতালে ব্যবস্থাপনাগত যেসব সমস্যা সেগুলোর কারণে অনেকে কোভিড হওয়া সত্ত্বেও হাসপাতাল যাচ্ছে না সেটা আসলে ভালো নয়।
দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ২৭০৯ জনের নমুনায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন আরও ৩৪ জন। বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে ১৪ জন চট্টগ্রামের ৩ জন, সিলেটের ৪ জন, রাজশাহীর ৫ জন, খুলনার ৬ জন, ময়মনসিংহের ১ জন এবং বরিশাল বিভাগের ১ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩২ জন এবং বাসায় ২ জন। এ নিয়ে মোট প্রাণহানি হলো ২ হাজার ৫৮১ জনের। আর করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো মোট ২ লাখ ২ হাজার ৬৬ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় মোট ১০ হাজার ৬৩২ টি নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। এখান থেকে ১০ হাজার ৯২৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ লাখ ১৭ হাজার ৬৭৪ টি।
বর্তমানে মোট আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৪৯৮ জন।
নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।