ফাহিম সালেহ হত্যায় জড়িত সন্দেহে একজন গ্রেফতার

রাইড শেয়ারিং সেবা ‘পাঠাও’ এর সহপ্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ফাহিম সালেহ হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার চার দিন পর ফাহিম সালেহর সহকারীকে গ্রেফতার করে মার্কিন পুলিশ।যুক্তরাষ্টের আইন-শৃংখলাবাহিনীর বরাত দিয়ে শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে ফোর্বস ও সিএনএন।

গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তির নাম টাইরেসে ডেভন হসপিল (২১)। সালেহর চিফ অব স্টাফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন হাসপিল।
Read More News

নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, ফাহিম সালেহ যখন জানতে পারেন হাসপিল তার ১ লাখ ডলার আত্মসাৎ করেছে, তখন তাকে ওই টাকার জন্য চাপ দেন। পরে হাসপিল টাকা ফেরৎ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর জেরেই ফাহিম সালেহ খুন হন বলে নিউইয়র্ক পুলিশের ধারণা।

বাংলাদেশের পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে নাইজেরিয়ায় লাগোসে যৌথ উদ্যোগে অ্যাপভিত্তিক মোটরবাইক রাইড সার্ভিস ‘গোকাডা’ চালু করেন। এছাড়াও তিনি বিনোদনমূলক অ্যাপারেটাস কোম্পানি ‘কিকব্যাকের’ প্রতিষ্ঠাতা ও অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটলেরও সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ফাহিমের খণ্ড-বিখণ্ড লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই খুনের ঘটনায় একজন সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা হলেও তাকে এখনও হেফাজতে নেওয়া হয়নি। তবে ৩৩ বছর বয়সী তরুণ উদ্ভাবক ফাহিমের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত থাকতে পারে তা নিয়ে আর কিছু জানায়নি তদন্তকারীরা।

নিউইয়র্ক সিটির সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা বলে পরিচিত ম্যানহাটানের লোয়্যার ইস্ট সাইডে ইস্ট হিউস্টন স্ট্রিটের ওপর ভবনের সপ্তম তলায় বিলাসবহুল কন্ডোমিনিয়ামটি গতবছর সাড়ে ২২ লাখ ডলারে কিনেছিলেন ফাহিম।

সিসিটিভির ফুটেজ অনুযায়ী, সোমবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে লিফটের ভেতরে তাকে দেখা গিয়েছিল শেষবার। ফাহিমের পিছু নিয়ে পুরো কালো পোশাক ও মুখে কালো মাস্ক পরা খুনিও ওই লিফটে চড়ে ম্যানহাটানের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকেছিল। সাত তলায় পৌঁছার পর ফাহিমকে অনুসরণ করে খুনিও লিফট থেকে বের হয়ে আসে।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, খুনি একটি বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে আঘাত করে কাবু করে ফেলে ফাহিমকে। এর পরের ২৬ ঘণ্টায় খুনি তার ঘাড়ে ও গলায় কয়েকবার আঘাত করে। ফাহিমের মৃতদেহ পরীক্ষা করে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে মেডিকেল এক্সামিনার কর্তৃপক্ষ।

পুরো একদিন ফাহিমের সাড়া না পেয়ে মঙ্গলবার ওই অ্যাপার্টমেন্টে গিয়েছিলেন তার বোন। তিনিই প্রথম ব্যাগে ভরা ফাহিমের খণ্ডিত দেহ দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ওই অ্যাপার্টমেন্টের গার্বেজ ব্যাগ থেকে ৩৩ বছর বয়সী এই তরুণের খণ্ড-বিখণ্ড লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *