চাচির সঙ্গে ভাতিজার বিয়ে, পরিবার মেনে না নেওয়ায় দুইজন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের মালবাঁধি জঙ্গল সংলগ্ন গড়বেড়িয়া এলাকার এক বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, এক বাড়িতে থাকার কারণেই চাচির সঙ্গে ভাসুরের ছেলের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। সেখানে থেকেই পালিয়ে চাচির কপালে সিঁদুয়ে দিয়ে বিয়ে করেন ভাতিজা। বিষয়টি কোনভাবে মেনে নিতে পারেনি দুইজনের পরিবার। পরে এক দড়িতে ফাঁস দেন তারা।
Read More News
ওই গ্রামের বাসিন্দা মমতা দাস। বছর কয়েক আগে তার বিয়ে হয় আনন্দপুরে। সন্তানও রয়েছে ওই গৃহবধূর। সুখের সংসারে আচমকা ভাতিজা গৌতমের প্রতি দুর্বলতা তৈরি হয় মমতার। আর চাচির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে চিঠি আদান-প্রদান করেন ওই যুবক। প্রথমে কেউ না বুঝলেও, একটা সময়ের পর তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রকাশ্যে চলে আসে। তখনই বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবার। এরপরই রাগ করে বাপের বাড়িতে চলে যান মমতা। মঙ্গলবারও বাপের বাড়িতে ছিলেন ওই গৃহবধূ।
পরে আনন্দপুর থেকে গৌতম দাসও চলে যায় প্রেমিকা তথা চাচির সঙ্গে দেখা করতে। দু’জনে একটি সাইকেলে ঘোরাঘুরির পর মালবাঁধির জঙ্গলে গিয়ে চাচিকে বিয়ে করে গৌতম। এরপরই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তারা। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। তারাই লাশ দুটি উদ্ধার করে।
জানা গেছে, লাশের কাছ থেকে একাধিক প্রেমপত্র এবং কিছু টাকা পয়সা পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা, আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্যেই তারা নতুন দড়ি নিয়ে জঙ্গলে ঢুকেছিল। পুলিশ নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।