ময়মনসিংহের গৌরীপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিয়ের খবরে তোলপাড় চলছে। বিয়ের স্বীকৃতির দাবিতে শনিবার রাতে এক নারী অবস্থান নেয় ওই বরের গৌরীপুরে বাবার ভাড়া বাসায়। আরেক নারী রোববার ভোলা জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দেন। অপর নারীও চান স্ত্রীর স্বীকৃতি, এক ম্যাজিস্ট্রেটকে ৩ নারীর স্ত্রী’র স্বীকৃতি দাবি করায় এ নিয়ে শহরজুড়ে তোলপাড় চলছে।
৩৬ তম বিসিএস উর্ত্তীণ হন নাদির হোসেন শামীম। বর্তমানে ভোলা জেলায় সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম শালীহর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের পুত্র।
Read More News
পরিবার ও ভিকটিমদের সূত্রে জানা যায়, নাদির হোসেন শামীমের সঙ্গে সাতক্ষীরার আরেক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। রোববার (৫ জুলাই/২০২০) ঢাকায় এ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এ খবর শুনে স্বামীর স্বীকৃতির দাবিতে শনিবার (৪ জুলাই/২০২০) সন্ধ্যায় ২৫ ঊর্ধ্ব এক নারী গৌরীপুর পৌর শহরের উত্তর বাজার মহল্লায় নাদির হোসেন শামীমের বাবার ভাড়া বাসায় অবস্থান নেয়। ওই নারী এ সময় তাকে স্ত্রী মর্যাদা দেয়ার দাবি জানান। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে যান। এ সময় আব্দুল কদ্দুছ জানান, তার ছেলের সঙ্গে তাদের পারিবারিক সম্পর্ক নেই। এই নারীর সঙ্গে তাদের ছেলের কোন সম্পর্ক আছে কিনা তা তিনি জানেন না।
অপরদিকে এই ম্যাজিস্ট্রেটের বিয়ের খবরে চট্টগ্রামের আরেক নারীও শামীমের স্ত্রী দাবি করেন। ওই নারী এ প্রতিনিধিকে জানান, তার সঙ্গে মুনশী দিয়ে ধর্মীয় শরীয়া মোতাবেক বিয়ে করে আড়াই বছর ঘরসংসারও করেছেন। তিনি এ অভিযোগটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও থানা প্রশাসকেও অবহিত করেছেন।
এদিকে রোববার সকালে গৌরীপুরের আরেক নারী নাদির হোসেন শামীমের বিরুদ্ধে ভোলা জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ ইমেইলে প্রেরণ করেন। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, নাদির হোসেন শামীমের সঙ্গে ২০০৭সালে তার সম্পর্ক হয়। সে সময় তিনি গৌরীপুর সরকারি কলেজ হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করতেন। মেয়েটি তখন ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। সেই থেকে প্রেম ও ময়মনসিংহ শহরে নিয়ে একাধিক স্থানে এ মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়। বিয়ের প্রলোভনে সর্বশেষ সম্পর্ক হয় ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট।
এ প্রসঙ্গে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শামীমের ভাই কবীর হোসেন সুজন বলেন, শামীমের বিয়ের অনুষ্ঠান রোববার (৫ জুলাই/২০২০) ঢাকায় সম্পন্ন হয়েছে। সদরঘাটে আছি, বর-কনেকে তুলে দিবো এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না।
নাদির হোসেন শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কল দিয়েও সংযোগ পাওয়া যায়নি।