ছেলেমেয়ে দেশে ফিরলে এন্ড্রু কিশোরের শেষকৃত্য

এন্ড্রু কিশোরের এক ছেলে ও এক মেয়ে দুজনই অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। মেয়ে মিনিম এন্ড্রু সংজ্ঞা সিডনিতে গ্রাফিক ডিজাইন আর ছেলে জে এন্ড্রু সপ্তক মেলবোর্নে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে পড়ছেন। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁরা দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, দেশে ফিরলেই শেষকৃত্য হবে।
Read More News

বাবার শরীরের অবস্থা খারাপ শোনার পর থেকেই তারা দেশের ফেরার চেষ্টা করছে। তবে এখনো তারা আসার জন্য টিকেট পায়নি। ওখানে তাদের পরিচিত কয়েক জনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা দেশের ফেরার পরেই এন্ড্রু কিশোরের শেষকৃত্যের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় বোনের বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ সকাল থেকেই এন্ড্রু কিশোরকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল।

ক্যানসারের চিকিৎসা শেষে দীর্ঘ নয় মাস পর গত ১১ জুন সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরেন এন্ড্রু কিশোর। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১৮ সেপ্টেম্বর তাঁর শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর তাঁকে কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছিল। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক লিম সুন থাইয়ের অধীনে তাঁর চিকিৎসা হয়।

১৯৫৫ সালে এন্ড্রু কিশোরের জন্ম রাজশাহীতে। সেখানেই কেটেছে তাঁর শৈশব ও কৈশোর। এন্ড্রু কিশোর প্রাথমিকভাবে সংগীতের পাঠ শুরু করেন রাজশাহীর আবদুল আজিজ বাচ্চুর কাছে। একসময় গানের নেশায় রাজধানীতে ছুটে আসেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, আধুনিক গান, লোকগান ও দেশাত্মবোধক গানে রেডিওর তালিকাভুক্ত শিল্পী হন। বাংলা গানের কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ হিসেবেও পরিচিত। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে তাঁকে বলা যেতে পারে এক মহাসমুদ্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *