দেশের অন্যতম বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)। তিনি দুই বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন বলে জানা গেছে। আর বেশিরভাগ সময়ই তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাড়িতে থাকতেন। সেখানেই আজ বুধবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান।
তিনি এমন দিনে মারা গেলেন, যেদিন তার নাতি ফারাজ আইয়াজ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারাজ হোসেন ২০১৬ সালের পহেলা জুলাই তারিখে ঢাকার হোলি আর্টিজান রেস্তোরায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহত হন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চিওড়ায় নিজের বাংলো বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। ৭৫ বছর বয়সী লতিফুর রহমান করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর থেকেই গ্রামের বাড়িতে ছিলেন, তবে তিনি কোভিড আক্রান্ত ছিলেন না। বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। এশার নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে জানাজার পর লতিফুর রহমানকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
Read More News
লতিফুর রহমানের জন্ম ১৯৪৫ সালের ২৮ অগাস্ট ভারতের জলপাইগুড়িতে। বাবার পাটের ব্যবসা দিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করা লতিফুর পরে বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িত হন। ইলেকট্রনিক্স, খাদ্যপণ্য, ওষুধ, চা, মিডিয়াসহ বিভিন্নখাতে ছড়িয়ে রয়েছে ট্রান্সকমের ব্যবসা। লতিফুর রহমান প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার অন্যতম মালিক। এছাড়া, আন্তর্জাতিক ফুড চেইন পিৎজা হাট ও কেএফসি, পেপসি এবং ফিলিপসের বাংলাদেশে ফ্রাঞ্চাইজির মালিক ছিলেন তিনি। তিনি ২০১২ সালে মর্যদাপূর্ণ বিজনেস ফর পিস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। মৃত্যুর সময়ে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।