ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মিজোরাম পরপর তিনদিনে তিন বার কেঁপে উঠল। রবিবার ও সোমবার পরপর দু’দিন বেশ ভালো রকম ভূমিকম্প হয় এই রাজ্যে। এরপর বুধবার রাতে ফের ভূমিকম্প।
এদিন রাতে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.২। মিজোরামের চম্পাই থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এই কম্পনের উৎসস্থল। রাত ১১ টা ৩ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে এই কম্পনের কথা জানানো হয়েছে।
এর আগে সোমবারও ভূমিকম্প হয় মিজোরামে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে জানা গিয়েছে, মিজোরামের চম্পাই জেলা থেকে ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এই কম্পনের উৎসস্থল।
Read More News
জুনের ২১ তারিখ অর্থাৎ রবিবার অসমের গুয়াহাটি সহ একাধিক জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রতিবেশি রাজ্য মেঘালয়, মণিপুর এবং মিজোরামেও তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে। রবিবার বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটে এই কম্পন হয়েছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ৫.১। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু মিজোরামের আইজল জেলা বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, জুনের ১৮ তারিখ ভূমিকম্প কাঁপিয়ে দিয়েছে দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে। এদিন রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫। ভূমিকম্পের তীব্রতা মাঝারি হলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে গোটা উত্তর-পূর্বেই। মিজোরাম রাজ্যের চাম্পাই জেলায় ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮০ কিলোমিটার ভেতরে কম্পনের উৎসস্থল বলেই জানিয়েছে স্থানীয় সিসমিক সেন্টার।
একাধিক বড় বিল্ডিং, চার্চ, হাইওয়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ফাটল দেখা গিয়েছে সোমবারের ভুমিকম্পে। তবে পুরোপুরি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এই অবস্থায় মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদী এ বিষয়ে একটি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার ভূমিকম্প পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।