করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকা লকডাউন করার পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে আরও অনেক এলাকা লকডাউন করা হবে। এ জন্য রোববার নতুন নির্দেশনা দেয়া হবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে। জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
লকডাউন করা এলাকা পুরো অবরুদ্ধ থাকবে। চিহ্নিত এলাকার চাকরিজীবীরা সাধারণ ছুটি ভোগ করবেন। ১৫ই জুন পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অফিস কার্যক্রমের বিষয়ে যে নির্দেশনা দিয়েছিল ১৬ই জুন থেকে একই নির্দেশনা থাকবে, আর নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। লকডাউন করা এলাকায় সরকারি-বেসরকারি সব চাকরিজীবীই ছুটি ভোগ করবেন, রোববার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
Read More News
রেড জোনগুলোতে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় বুথ বসানো হবে, সেখানে চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। চারপাশ থেকে ওই অঞ্চলকে ঘিরে দেয়া হবে যাতে মানুষ বাইরে বের হতে না পারে। ১৬ জুন থেকে এভাবেই চলতে থাকবে।
রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্যমতে লকডাউন হতে পারে রাজধানীর ৪৯ এলাকা।এলাকাগুলো হচ্ছে- আদাবর, আগারগাঁও, আজিমপুর, বাবুবাজার, বাড্ডা, বনশ্রী, বনানী, বংশাল, বাসাবো, বসুন্ধরা, চকবাজার, ডেমরা, ধানমণ্ডি, ইস্কাটন, ফার্মগেট, গেন্ডারিয়া, গ্রিনরোড, গুলশান, হাজারীবাগ, যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, কল্যাণপুর, কলাবাগান, কাকরাইল, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও, লালবাগ, লালমাটিয়া, মালিবাগ, মিরপুর, মিরপুর-১, মিরপুর-১২, মগবাজার, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, মুগদা, পল্টন, রাজারবাগ, রামপুরা, রমনা, শাজাহানপুর, শাহবাগ, শ্যামলী, শান্তিনগর, শেরেবাংলা নগর, তেজগাঁও, উত্তরা, ওয়ারী।