শুধু দেশে না, বিদেশেও একইরকম জনপ্রিয় প্রভাস। তার কারণ অভিনয়ের প্রতি তাঁর ভালোবাসা। ভক্তমহলের প্রসার সব অভিনেতাই চান। প্রভাসও সেই তালিকাতেই রয়েছেন। বাহুবলী, সাহো ছবিগুলিতে কাজের জন্য ইতোমধ্যেই বিশাল ফ্যানবেস তৈরি হয়েছে প্রভাসের। আর সেটি দেশের বাইরে একেবারে অসম্ভব জনপ্রিয় হয়েছে।
২০১৬ সালে বাহুবলী মুক্তি পায়। এর পর বাহুবলী ২। ভারতের বাইরে জাপান, চিন, ইন্দোনেশিয়া, লন্ডন ও রাশিয়াতে এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল। টেলিভিশনেও দেখানো হয়েছে বাহুবলী। তাঁর অভিনয় প্রশংসা পেয়েছে দর্শকমহলে। বিদেশের দর্শকও সমান ভাবে ভালোবেসেছেন তাঁকে। পরে শ্রদ্ধা কাপুরের সঙ্গে সাহো করেছেন প্রভাস। সেটিও দেশের বাইরে জাপানে মুক্তি পেয়েছিল। সেখানেও ফ্যানেরা দারুণ প্রশংসা করেছেন অভিনেতার। যদিও প্রভাস সব সময়ই লাইমলাইটের বাইরে থাকতেই পছন্দ করেন। তাঁর কাজই তাঁর হয়ে কথা বলে।
Read More News
পরিচালকদেরও দারুণ পছন্দের প্রভাস। কারণ তাঁর প্রতিটি কাজ একটা আলাদা ছাপ ফেলে দেয় দর্শকের মনে। বক্স অফিসেও সাড়া জাগানো রোজগার প্রতিটা ফিল্মের। কখনও বিপ্লবী, কখনও প্রেমিক সব চরিত্রেই সমান সাবলীল প্রভাস। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নারও প্রভাসের গানে নেচে সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন। বলেছিলেন বাহুবলীর ডায়লগও।
তেলুগু সিনেমায় একচেটিয়াভাবে অভিনয় করা একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি মূলত তামিল এবং তেলুগু ভাষার ছবিগুলোতে অভিনয় করেন। তিনি তেলুগু অভিনেতা উপ্পালাতি কৃষ্নাম রাজুর ভাগ্নে। তিনি ২০০২ সালে এশওয়ার ছবি দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি এরপর আরো বেশকিছু ছবি যেমন ভরসাম (২০০৪), ছত্রপতি (২০০৫), চক্রাম (২০০৫), মুন্না (২০০৭), বিল্লা (২০০৯), মিঃ পারফেক্ট (২০১১) ও মির্চি (২০১৩) তে অভিনয় করেন। ২০১৪ সালে তিনি প্রভু দেবা পরিচালিত বলিউডের একটি ছবি অ্যাকশন জ্যাকসন এ একটি আইটেম গানে অভিনয়ের মাধ্যমে হিন্দি ছবিতে হাজির হন। তার অভিনীত বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন (২০১৭) ছবিটি ছিল গ্লোবাল ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বকালের সর্বোচ্চ ও ভারতের সর্বোচ্চ ব্যবসা সফল ছবি।
প্রভাস উপ্পলাপতি শুরিয়ানারায়ণ এবং শিব কুমারীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার ভাইবোনদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। তার বড় ভাই হলেন প্রবোধ উপ্পলাতি এবং বোন প্রগতি। তিনি তেলুগু অভিনেতা উপ্পলাপতি কৃষ্ণাম রাজুর ভাগ্নে। প্রভাস ভীমাভারামের ডিএনআর স্কুলে নিষেবিত হন এবং হায়দ্রাবাদের শ্রী চৈতন্য কলেজ থেকে বি.টেক ডিগ্রি নেন।
প্রভাস এক বার জানিয়েছিলেন, ছোটবেলা থেকেই হোটেলের ব্যবসা করার ইচ্ছে ছিল তাঁর। প্রভাসের প্রিয় খাবার বাটার চিকেন। দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেতাদের মধ্যে একমাত্র প্রভাসেরই মোমের মূর্তি রয়েছে ব্যাংককের মাদাম তুসো মিউজিয়ামে। পরিচালক এস এস রাজামৌলির ‘বাহুবলী’ ছবি করার সময় পাঁচ বছর আর কোনও ছবি করেননি প্রভাস। বাহুবলীর কাজ চলাকালীন প্রভাস নাকি বিয়ের জন্য ৬ হাজার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। তবে কোনও প্রস্তাবেই রাজি হননি তিনি। প্রভাস অসম্ভব বই পড়তে ভালবাসেন। নিজের বাড়িতে একটি আস্ত লাইব্রেরি রয়েছে তাঁর।
শুক্রবার গ্রিন ইন্ডিয়া চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন সকলের প্রিয় অভিনেতা। লকডাউন পিরিয়ডে এই প্রথম প্রভাসকে দেখা গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সবুজ ছাড়া মানুষ বাঁচবে না, সমস্ত সৃষ্টিই ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই দেশকে আবার সবুজ ফিরিয়ে দিতে নতুন চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন তারকারা। সেই চ্যালেঞ্জ এ বার গ্রহণ করলেন দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাস। সোশ্যাল মিডিয়ার শেয়ার করেছেন ছবি।
আপাতত নিজের ২০ নম্বর ছবির শ্যুটিংয়ের কাজ শুরু করতে চলেছেন প্রভাস। পরিচালক নাগ অশ্বিনের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। এটিও প্যান ওয়ার্ল্ড মুক্তি হবে বলে জানা গিয়েছে।