কেরলের গর্ভবতী হাতি হত্যা নিয়ে দেশজুড়েই উঠেছে বির্তক। বলিউড থেকে টলিউডের সেলবরা সকলেই প্রতিবাদ করেছেন এই হাতি হত্যার। এমনকি শিল্পপতী রতন টাটাও প্রতিবাদ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। খাবারের মধ্যে বাজি ভরে খাইয়ে দেওয়া হয়েছিল হাতিটিকে। অভুক্ত হাতিটি খাবারটা খেয়েছিল সরল বিশ্বাসে। তার সারা মুখ, জিভ জ্বলে গিয়েছিল। পেটের ভিতরে থাকা ছয় মাসের বাচ্চাটিকেও রক্ষা করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত জলাশয়ে মুখ ডুবিয়ে শেষ রক্ষা করতে চেয়েছিল মা হাতি। কিন্তু সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই মর্মান্তিক ঘটনায় নড়েচড়ে বসে গোটা দেশ।
এবার এই ঘটনার প্রতিবাদ করলেন অভিনেত্রী, সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে খোলা চিঠি লিখেছেন মিমি।
Read More News
মিমি লিখেছেন, ” সারা দেশের বাকি মানুষের মতো নৃশংসভাবে হাতিটিকে মেরে ফেলার ঘটনায় আমিও মর্মাহত। কেরলেন পাল্লাকর জেলায় যেভাবে বিস্ফোরক ভর্তি আনারস খাইয়ে হাতিটিকে মারা হলো তাতে দেশের নাগরিক হিসাবে, পশুপ্রেমী হিসাবে লজ্জায় আমার মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। আমি জানি কেরল সরকার দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেবে। তবে কেরলে এই ঘটনা প্রথম নয়। গতমাসেও একটি হাতির চোয়াল ভেঙে মৃত্যু হয়েছে। হাতিরা রোজ এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়। তাই ঠিক কোথায় এধরনের ঘটনা ঘটছে সেটা চিহ্নিত করা খুবই মুশকিল। সবসময় সঠিক তথ্যও পাওয়া যায় না। তবে শুধু হাতি নয়, কেরলের ওই অঞ্চলেও অন্যান্য প্রাণীকেও হত্যা করার হয়েছে। এমনকি কুকুরকে পিটিয়ে মারা হয়েছে, বিড়ালকেও গলায় ফাঁস আটকে মারার মতো ঘটনাও কেরলে ঘটেছে। অনেক সময় চাষীরা ফসল রক্ষা করতে ফলের মধ্যে এভাবে বাজি ঢুকিয়ে রাখে। তাই এই সমস্যার সমাধান করতে হলে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে মানুষকে বোঝাতে হবে।… শুধু সাজা দিলেই এই সমস্যা মেটার নয়। ১৯৬০ সালের পশু সুরক্ষা আইন ও ১৯৭২ সালে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন কার্যকর করার পরও বন্যপ্রাণীদের হত্যা আটকানো যায়নি। তাই সচেতনা প্রচারই করা উচিত। মানুষকে বোঝাতে হবে। ”
এই চিঠি ট্যুইটারে পোস্ট করেন মিমি চক্রবর্তী। যদিও হাতি হত্যার ঘটনার বিচার হবে বলেই জানিয়েছে কেরল সরকার। তবে মিমির এই পদক্ষেপ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসিত হয়েছে।