আমফানের দগদগে ক্ষত এখনও যন্ত্রণা দিচ্ছে, তার মধ্যেই আবার মাথাচাড়া দিয়ে বসে আসছে আর এক ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ। আমফানে বিধ্বস্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা। ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে সুন্দরবন।
আরব সাগরে নতুন করে দানা বাঁধছে একটি ঘূর্ণিঝড়। বাংলাদেশের প্রস্তাবিত নাম অনুয়ায়ী সেটিই নিসর্গ। মুম্বই থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও সুরাট থেকে ৯২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে নিসর্গ। ধীরে ধীরে শক্তি বৃদ্ধি করে সাইক্লোনের রূপ নেবে এই নিম্নচাপ।
আবহওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, শক্তি বাড়িয়ে ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে ‘নিসর্গ’। গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে বুধবার স্থলভাগে আছড়ে পড়বে নিসর্গ। যার প্রভাব থাকবে বৃহস্পতিবারেও। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
Read More News
উত্তাল সমুদ্র। ভারতে শুরু হয়েছে বৃষ্টিও। বইছে ঝোড়ো হাওয়াও। আগামী ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী এলাকা ও গুজরাতের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, আরব সাগরে ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে সাইক্লোন নিসর্গ। এটি একটি ক্রান্তিয় সাইক্লোন। ইতিমধ্যে উপকূল এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ জায়গায়।
জানা জাচ্ছে, কেরল, উপকূলবর্তী কর্নাটক, গোয়া ও মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী এলাকার জন্য আজ কমলা সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। আগামী ২৪ ঘন্টার জন্যে মহারাষ্ট্র উপকূল ও গোয়ার জন্য জারি রয়েছে কমলা সতর্কতা। পূর্ব মধ্য আরব সাগর ও লাক্ষাদ্বীপে নিম্নচাপ ঘণীভূত হয়েছে, আগামী ১২ ঘণ্টায় তা আরও শক্তিশালী হবে। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুরু হতে পারে ঘূর্ণিঝড়। ২ তারিখ থেকে তা উত্তরমুখী হবে, তারপর যাবে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে। সেখান থেকে তা ঢুকতে উত্তর মহারাষ্ট্রে ও দক্ষিণ গুজরাত উপকূলে।
উত্তর ও দক্ষিণ গুজরাত উপকূলের যে মৎস্যজীবীরা আরব সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছেন, তাঁদের ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বলা হয়েছে, ৪ তারিখ পর্যন্ত না বার হতে।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, সাইক্লোণের প্রভাব ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝড় আছড়ে পড়বে। দক্ষিণ গুজরাত উপকূলে হাওয়ার গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। তবে আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৩-৪ তারিখ ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার হতে পারে, গুজরাত উপকূলে তা বইতে পারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে। সমুদ্রের অবস্থা আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।