গ্রামের বাড়ি ঈদ করেছেন অভিনেত্রী পপি

অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি ২৫ বছর পর গ্রামের বাড়ি খুলনায় ঈদ করেছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে গ্রামের বাড়িতে গেলে আর ঢাকা ফিরতে পারেননি তিনি।

ঢাকায় ঈদ করলে অনেককেই সালামি দিতে হয়, নিজের সালামি চাওয়ার মতো তেমন কেউ থাকে না। তবে এবার গ্রামের বাড়িতে ঈদ করায় মুরুব্বি ও কাছের মানুষের কাছ থেকে ঈদ সালামি হিসেবে পেয়েছেন বেশ কিছু টাকা। সেই টাকা অসচ্ছল মানুষের মধ্যে বিতরণ করবেন বলে জানিয়েছেন পপি। শুধু তাঁর টাকাই নয়, সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে কাজিনদের পাওয়া ঈদ সালামিও।

পপি বলেন, ১৯৯৫ সালে কাজের প্রয়োজনে ঢাকায় চলে যাই। কীভাবে এতগুলো বছর কেটে গেল বুঝতেই পারিনি। এত দিন পর গ্রামের বাড়িতে সবার সঙ্গে রোজা বা ঈদ করে অনেক ভালো লেগেছে। তবে বাবার শরীরটা একটু খারাপ, যে কারণে মনটা খারাপ থাকে। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।
Read More News

ঢাকায় ঈদের সময় সালামি চাইব, তেমন কেউ নেই। গ্রামের বাড়িতে আমরা যৌথ পরিবার, চাচা-চাচি, ফুফু–ফুফা ও কাজিনরা আছে। যে কারণে সবাই মিলে মুরুব্বিদের কাছ থেকে ঈদে ভালো সালামি পেয়েছি। কাছের কিছু মানুষও সালামি দিয়েছেন। কাজিনদের সালামির টাকা ও আমার সালামির টাকা মিলে বেশ কিছু টাকা হয়েছে। আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই টাকাটা আমরা করোনায় সমস্যা পড়া মানুষকে দান করব। আর খুলনায় শুধু করোনা নয়, কয়েকদিন আগে ঝড়েও অনেক ক্ষতি হয়েছে। যে কারণে সমস্যায় পড়া মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে।

চিত্রনায়িকা পপি বলেন, করোনায় আমি এখানে প্রায় দুই হাজার মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়েছি। এটা আসলে ভালোবাসার প্রতিদান। যাদের ভালোবাসায় আমি আজ পপি হয়েছি, তাদের জন্য ভালোবাসা দিতে পেরে ভালো লেগেছে। আবার কিছুটা মন খারাপও ছিল, কারণ আমি হাজার কোটি টাকার মালিক নই। যে কারণে ইচ্ছে থাকার পরও এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারিনি। সমাজের বিত্তবানদের বলব, আপনারা এখন সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান। কারণ সব সময় মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন হয় না, এখন যতটা প্রয়োজন। সবাইকে বলব আপনারা নিজের ঘরে অবস্থান করুন, বিশেষ কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না। এতে করে আপনি ও আপনার পরিবার করোনামুক্ত থাকবে।

পপি ১৯৭৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কাটে খুলনায় দাদাবাড়িতে। ছয় ভাইবোনের মধ্যে পপি বড়। পড়াশুনা করেছেন খুলনার মুন্নুজান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে।

১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের কুলি ছায়াছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রে আবির্ভূত হন। এ পর্যন্ত তিনি মেঘের কোলে রোদ, কি যাদু করিলা, গঙ্গাযাত্রা ছায়াছবিতে অভিনয়ের করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুস্কাররে ভূষিত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *