বৈশ্বিক ঝড় নির্ণয়ক সংস্থা অ্যাকুওয়েদার বলছে, ২১ বছর আগে ‘উড়িষ্যা সুপার সাইক্লোনে’র পর বঙ্গোপসাগরে সুপার সাইক্লোন হয়ে এসেছে ‘আম্পান’।
ধারণা করা হচ্ছে, ‘আম্পান’ প্রলয়ঙ্করী ‘অতি ঘূর্ণিঝড়’ হয়ে বুধবার সকাল থেকে বিকাল বা সন্ধ্যায় বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্ব উপকূলজুড়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসা সুপার সাইক্লোনে রুপ নেয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে বুধবার সকাল ৬টায় মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলে হয়েছে। রাতের মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা ২০ থেকে ২২ লাখ লোককে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে। ঘূর্ণিঝড়টি প্রবেশ করারপর আর কাউকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া সম্ভব হবে না।
Read More News
মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। কোন জেলায় কতজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে তার জন্য কন্ট্রোল রুম থেকে জানছি। রাত ৮টার মধ্যে সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, একদিকে করোনা আরেক দিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। আপনারা জানেন বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় রোল মডেল। এসওডি অনুযায়ী আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিং করেছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১০ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৭৬৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার এবং পায়রাবন্দর থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। বাতাসের সর্বোচ্চ গতি এখন ২৪৫ কিলোমিটার, একারণে সুপার সাইক্লোন বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ২২ মে অমাবস্যা থাকায় এর প্রভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠবে জোয়ার। ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং আশপাশের দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-১০ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।