বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসা প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রায় ১৩শ আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৫১ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়াও উপকূলীয় এলাকায় তিন স্তরের উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তায় প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২৬টি জাহাজ।
মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রেজা-উল করিম শাম্মী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।
Read More News
দুপুরে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সুপার সাইক্লোন আম্ফান আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে এগিয়ে এসে সামান্য দুর্বল হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকারে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় আম্ফান চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।