বেশ কিছুদিন আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে ছোটপর্দার তারকা অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও নাজিয়া হাসান অদিতির।
রবিবার (১৭ মে) প্রকাশ্যে আসে এই বিচ্ছেদের খবর।
রাতে নিজের ফেসবুকে ‘ডিভোর্স’ নিয়ে বিস্তারিত লেখেন অপূর্বর প্রাক্তন স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতি। ডিভোর্স-এর সিদ্ধান্তের কারণে যেন অপূর্ব’র ক্যারিয়ারে কোনো প্রভাব না পড়ে, সে বিষয়ে ভক্ত অনুরাগীদের অনুরোধ করেন নাজিয়া।
নাজিয়া সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লেখেন, অপূর্ব একজন অমায়িক বাবা, ভাই, দায়িত্বশীল পুত্র এবং একজন ভাল মানুষ। লাখও ভক্তদের কাছে তিনি অসম্ভব মেধাবী, যা তিনি নিজেই অর্জন করেছেন। তিনি যে অবস্থানে আছেন, তার যোগ্য তিনি। দয়া করে তাকে তার ব্যক্তিগত জীবন দিয়ে নয়, তার অসাধারণ কাজগুলো দিয়ে বিচার করুন।
অদিতি বলেন, দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা কিছু কারণে একসাথে থাকছি না তবে আমি তার জন্য সুখী ও সমৃদ্ধ জীবন কামনা করছি। তিনি আমাকে সেরা উপহার হিসেবে পুত্র আয়াশকে দিয়েছেন। ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের জন্য দয়া করে আমাদের কাউকে ভুল বুঝবেন না। আপনারা যেভাবে আমাদের ভালবাসা দিয়ে এসেছেন এবং সমর্থন করেছেন, আশা করি তা অব্যাহত রাখবেন।সেইসাথে কোনো ভিত্তিহীন সংবাদে যে সাংবাদিকরা বিভ্রান্ত না হন সে বিষয়েও অনুরোধ জানান তিনি।
Read More News
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও নাজিয়া হাসান অদিতির বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে। কিন্তু এই বিচ্ছেদের পেছনে কতিপয় সংবাদ পোর্টাল তানজিন তিশার যোগসূত্র খুঁজছেন। অপূর্ব-তিশা জুটির প্রচুর নাটক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গুজব ছড়িয়েছে নিয়মিত জুঁটি বেঁধে অভিনয় করতে গিয়ে তাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফরমে এমন খবর ছড়ালেও বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়ে তানজিন তিশার সংশ্লিষ্টতা কোনোভাবেই পাওয়া যায়নি। এদিকে এমন গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তানজিন তিশা। এমনকি গুজব যারা ছড়াবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি।
সোমবার ভোরে নিজের ফেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তানজিন তিশা লিখেছেন, ‘আমি সাধারণত গুজবে সাড়া দেই না। তবে আজ আমি অনুভব করছি যে, কয়েকটি অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত চলমান গসিপ বন্ধ করা উচিত। দয়া করে আমার নামটি ব্যাবহার করবেন না। এতে আমারসহ শিল্পী এবং তার পরিবারের চলমান পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
তিশা বলেন, দয়া করে এমন খবরে বিশ্বাস করবেন না, যার কোনও সত্যতা নেই। আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি যেন এই গুজবে আর ভাগ না বসিয়ে এবং ছড়িয়ে না দেন। কারণ, ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেয়াও একটি সাইবার অপরাধ।
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিশা বলেন, অনুরোধ করছি আপনাকে এই ধরনের ভিত্তিহীন গল্পে আমার নাম উল্লেখ না করার। যারা এই কাজটি চালিয়ে যাবেন তাদের আমার শেষ থেকেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।