করোনাভাইরাসের আতঙ্ক থেকে মনকে ফুরফুরে রাখতে জার্মানির এক বিলাসবহুল হোটেলে ‘কোয়ারানটিন’-এ থাই রাজা। তাঁর সঙ্গে ২০ সুন্দরী এবং পরিচারকরা রয়েছেন।
বিলাসী খাওয়া দাওয়া, হাই প্রোফাইল অতিথি থাকার জন্য জার্মানির গ্র্যান্ড হোটেলে অন্য কোনও অতিথির থাকার অনুমতি মেলেনি।
Read More News
রাজা কোয়ারানটিনে আছেন। সুতরাং সময়ে খাওয়া দাওয়া, হোটেলের অন্য কর্মচারীরাও তটস্থ। এভাবে যে করোনাকে আটকানো যাবে না তা জানেন সকলে। এমনকী রাজার সঙ্গে তাঁর স্ত্রীও আসেননি। আর তাই জার্মান এবং থাইল্যান্ডের কিছু সমাজকর্মী এবার গ্র্যান্ড হোটেলের বাইরে প্রতিবাদে বসলেন।
হোটেলের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা আতঙ্কের পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় গ্র্যান্ড। শুধুমাত্র রাজার জন্যই বিশেষ অনিমতি নিয়ে হোটেলটি খোলা হয়। কিন্তু এই ভাবে কোয়ারানটিন চললে বিপদ। তিনি মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। তাঁকে অনেকবার বলা হয়েছে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তিনি যেন দেশে ফিরে যান। তাতে রাজি হননি তিনি।
সম্প্রতি কারফিউ উঠেছে জার্মানের কিছু কিছু স্থানে। সেই সব জায়গায় এখন ভ্রমণেও যাচ্ছেন তিনি। হোটেল কর্তৃপক্ষও সমস্যায় পড়েছেন। থাইল্য়ান্ডের আইন অনুযায়ী, রাজা বা রাজ পরিবারের সদস্য়দের সমালোচনা করা দণ্ডনীয় অপরাধ। দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১৫ বছর জেল হতে পারে। কিন্তু আইনের তোয়াক্কা না করে অনেক থাই নাগরিকই রাজার সমালোচনায় সরব।