হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্রর ৪০ বছরের বিবাহবার্ষিকী

বলিউডের পাওয়ার কাপল হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্রর ৪০ বছরের দাম্পত্যের সেলিব্রেশন আজ। বাবা-মায়ের পুরনো ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন তাঁদের দুই মেয়ে এষা ও আহানা। লিখেছেন, বাবা-মায়ের জন্য অনেক ভালোবাসা এবং দীর্ঘায়ুর কথা।

ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ের আগে হেমা মালিনীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল বলিউডের আরেক তারকা জিতেন্দ্রর সঙ্গে। বাড়ি থেকে বহু চেষ্টা করেও হেমা মালিনীর বিয়ে জিতেন্দ্রর সঙ্গে দিতে পারেনি।

দুজনের বাড়ির তীব্র আপত্তি উপেক্ষা করেই, আট বছরের দুরন্ত প্রেমের পরে বিয়ে। সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে স্বপ্নসুন্দরীকে জিতে নেন ধর্মেন্দ্র।
Read More News

জানা যায়, সাতের দশকে ধর্মেন্দ্র ও হেমা, দু’জনেই কেরিয়ারের শীর্ষে তখন। পর্দার মতো পর্দার বাইরেও সে সময় তাঁদের প্রেমের রসায়ন তুঙ্গে। ড্রিম গার্লকে দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ না করে পারেননি সহঅভিনেতা ধর্মেন্দ্র। কিন্তু প্রথম দিকে হেমা নিজের আবেগ প্রকাশ করতেন না। ইন্ডাস্ট্রিতে হেমার গুণমুগ্ধ ছিলেন আরও অনেক নায়ক। সহঅভিনেতা জিতেন্দ্র, সঞ্জীব কুমারেরও তাঁর প্রতি দুর্বলতা ছিল। পাত্র হিসেবে জিতেন্দ্রকে পছন্দ ছিল হেমার বাবা মায়েরও।

ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে মেয়ের বিয়েতে একেবারেই মত ছিল না হেমার মা জয়া লক্ষ্মীর। তিনি তড়িঘড়ি জিতেন্দ্রর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে ঠিক করে ফেলেন। যাতে বিবাহিত ধর্মেন্দ্রর কাছ থেকে সরিয়ে আনা যায় হেমাকে। শোনা যায়, সে দিনের মাদ্রাজ, আজকের চেন্নাইয়ে হেমা-জিতেন্দ্রর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। জিতেন্দ্রর পরিবারেও পাত্রী হিসেবে হেমা ছিলেন বিশেষ পছন্দের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যায় সেই বিয়ে।

অবশেষে ১৯৮০ সালে হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্রর বিয়ে। শোনা যায়, দু’জনেই বিয়ের আগে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। কারণ নায়ক হয়ে ওঠার আগে ১৯৫৪ সালে প্রকাশ কওরের সঙ্গে মাত্র ১৯ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল ধর্মেন্দ্রর। প্রকাশ-ধর্মেন্দ্রর চার ছেলেমেয়ে। দুই ছেলে সানি ও ববি দেওল, দুই মেয়ে বিজেতা ও অজিতা। ধর্মেন্দ্র-প্রকাশের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। সব জেনেই তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন এবং বিয়ে করেছিলেন ড্রিম গার্ল।

ধর্মেন্দ্র-হেমার প্রথম ছবি ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’, মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭০ সালে। দু’জনে একসঙ্গে অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন। সেগুলির মধ্যে অন্যতম শরাফত, নয়া জমানা, সীতা অওর গীতা, দোস্ত, জুগনু, আজাদ, দিল্লাগি, শোলে অন্যতম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *