সাধারণ ছুটির মধ্যে রবিবার থেকে সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতে সীমিত পরিসরে বিচারকাজ পরিচালিত হবে।
বিচারকাজ পরিচালনার সময় কঠোরভাবে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে সংশ্লিষ্টদেরকে বলা হয়েছে। যদি আদালত প্রাঙ্গন ও এজলাস কক্ষে সামাজিক ও শারীরিক দূরুত্ব বজায় রাখা না হয়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে আদালতের কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বিচারকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সকল বিচারপতির মতামত গ্রহণের পর কোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি।
Read More News
প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অতীব জরুরি বিষয়সমূহ নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টে একটি বেঞ্চ বসবে। ওই বেঞ্চে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি সকল অধিক্ষেত্রের জরুরি বিষয়সমূহ শুনানি ও নিষ্পত্তি করবেন। এছাড়া আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে বিচার কাজ পরিচালিত হবে। বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আপিল বিভাগের কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান। তবে চেম্বার আদালত ও হাইকোর্ট বেঞ্চ সপ্তাহে কতদিন বসবে সেটা এখনো নির্ধারন হয়নি।
জরুরি জামিন আবেদনসমূহ শুনানির জন্য সপ্তাহের দুদিন বসবে অধস্তন আদালত। দেশের প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজ তাদের সুবিধামত প্রতি সপ্তাহের যে কোন দু’দিন জামিন শুনানির নিমিত্তে সীমিত আকারে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
এছাড়া চিফ জুডিসিয়াল ও চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকেও সপ্তাহে দু’দিন জামিন আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। তারা নিজে বা তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ম্যাজিস্ট্রেটরা জামিন শুনানি করতে পারবেন। এসব শুনানিতে একটি আবেদনের পক্ষে একজন আইনজীবী থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। জামিন শুনানিতে কারাগার থেকে আসামি হাজির না করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।