করোনায় বিপর্যস্ত বিশ্ব। বাংলাদেশেও দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। করোনার বড় ঝুঁকিতে ঘনবসতির বাংলাদেশ। সরকারি হিসাবে, ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭৭২ জন আর প্রাণ হারিয়েছেন ১২০ জন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের ওয়ার্ড মাস্টার বলেন, গত পরশু দিন থেকে কালকে পর্যন্ত ১৫ টি মরদেহ জমা হয়েছে। এছাড়া পুরাতন কিছু মরদেহ আছে। আমরা করোনা পরীক্ষা করে মরদেহ হস্তান্তর করছি।
কারণ করোনা কিনা সেটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত স্বজনরাও মরদেহ নিচ্ছে না। অনেক স্বজন করোনা পজিটিভ হওয়াতে মরদেহ নিচ্ছে না। যেসব মরদেহ স্বজনরা নিচ্ছে না সেগুলো সরকারিভাবে দাফন করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
Read More News
মৃত ব্যক্তির স্বজনদের ঘন্টার পর ঘণ্টা ফোন দিলেও হাসপাতালে আসছেন না কেউ। কারো কারো স্বজন জানাজায় অংশ নিলেও মরদেহের কাছে যাচ্ছেন না। দূর থেকে স্বজনের মরদেহ দাফন করতে দেখছেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কবরস্থানের আশ-পাশেও আসছেন না কেউ।
এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছে আল মারকাজুল ইসলামী নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যেসব ব্যক্তির মরদেহ তার স্বজনরা গ্রহণ করছেন না, তাদের জানাযা, দাফনসহ সব দায়িত্ব নিচ্ছেন এই সংগঠনের কর্মীরা। হাসপাতাল থেকে মরদেহ সংগ্রহ করে খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করছে সংগঠনটি। শুধু মুসলিম নয়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মরদেহও সৎকারের জন্য শ্মশান ঘাটে পৌঁছে দিচ্ছে সংগঠনটি।
আল মারকাজুল ইসলামের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হামজা ইসলাম জানান, ২৪ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে যতটা সম্ভব সেবা দিচ্ছি। এখন পর্যন্ত শতাধিক লাশ দাফন করেছি, কোন স্বেচ্ছাসেবী করোনায় আক্রান্ত হননি বলেও জানান তিনি।
করোনা সংক্রমণে দেশে প্রথম মৃত্যু ঘটে ১৮ মার্চ। করোনায় মারা গেলে ভয়ে লাশের কাছে অনেকেই যেতে চাননা। সেখানে প্রথম থেকেই এই লাশ দাফনের কাজ করে আসছেন ‘আল-মারকাজুল ইসলামী’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা।