সারা দেশে সতর্কতা জারি করে তৎপর সরকারের শীর্ষ পর্যায়। তখনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো.শাহ আলম মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে জনসমাগমের আয়োজন করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন।
Read More News
শুক্রবার (২০ মার্চ) জেলা শহরের দাতিয়ারা ফারুকী পার্ক সংলগ্ন জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের ডরমেটরিতে থাকা সরকারি বাসভবনে মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন সিভিল সার্জন। বিয়ের আয়োজনে শামিল হয়েছেন রাজনৈতিক নেতা, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জেলার বিভিন্ন এলাকার চিকিৎসক, ক্লিনিক মালিক। বিয়েতে আড়াই থেকে তিন শতাধিক অতিথিকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে।
বিয়ের আয়োজন প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন বলেন, এটি সাদামাটা ভাবে ঘরোয়া আয়োজন করা হয়েছে। বিয়েতে কোনো জনসমাগম হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের চাপুইর গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ হোসেন মোল্লার ছেলে প্রকৌশলী মইনুল হোসেনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে সিভিল সার্জনের মেয়ে দন্ত চিকিৎসক শাননিন আলম মমোর বিয়ের আয়োজন করা হয়। আয়োজনে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর শুরু হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ও খাবার পর্ব। দুপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ফায়েজুর রহমান, গাইনি চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার, মেডিকেল অফিসার সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আজহারুর রহমান ও খোকন দেবনাথ।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন ক্লিনিকের একাধিক দল, খ্যাতিমান ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মচারী সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
দাওয়াত বিহীনভাবে বিয়ে বাড়ির আশপাশে সাংবাদিকদের আনগোনা দেখে বিকেল পৌনে তিনটার পর সিভিল সার্জনের সরকারি বাসভবনে প্রধান ফটকের গেইট বন্ধ করে দেয়া হয়। শুধু আমন্ত্রিত অতিথি ব্যতীত বিয়ে বাড়িতে অপরিচিত কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
সিভিল সার্জন শাহ আলম বলেন, এক মাস আগেই বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার মেয়ের গায়ে হলুদ হয়েছে। আজ বিয়ে। আমরা দশ ভাই বোন। তাদের ছেলে মেয়ে ২৭ জন। কয়েকজন আত্মীয় স্বজন আছে। আমি বাবা হয়ে কীভাবে মেয়ের বিয়ে বন্ধ করে দেই? পরিবারের অনেক সদস্য ও বিশিষ্টজনদের দাওয়াত দিতে পারিনি।