দেবরের সাথে মিশতে মিশতে যেভাবে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেন গৃহবধূ

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরিশালের এক গৃহবধূ জানিয়েছেন তাঁর জীবন কাহিনী।“ আর সবার মত আমার পরিচয়ও গোপন রাখার অনুরোধ করছি। আমার বিয়ে হয়েছে ৭ বছর হলো কিন্তু আমি আজো আমার স্বামীকে ভালবাসতে পারিনি। আমার যখন বিয়ে হয় আমার বয়স তখন ১৭ আর আমার স্বামীর বয়স ৪০। বিয়েতে কারো মত ছিলনা একমাত্র বাবা ছাড়া।

জানিনা বাবা কোন বুঝে আমাকে এমন বিয়ে দিল। পড়ালিখা করার অনেক ইচ্ছে ছিল কিন্তু এক পারলামনা বাবার জন্য আরেক পারলামনা স্বামীর জন্য। বিয়ের আগে আমার একজনের সাথে সম্পর্ক ছিল শুধু মোবাইলে কথা হত দেখা হতোনা। সমস্যা হলো স্বামী আমাকে অনেক সন্দেহ করে কারো সাথে কথা বলতে দেয়না কোথাও ঘুরতে নিয়ে গেলে গাড়ী থেকে নামতে দেয়না, সবসময় তার ইচ্ছেতেই আমাকে চলতে হয় এক কথায় বলা যেতে পারে স্বামীর হাতের পুতুল।
Read More News

আমি বিয়ের আগে ছিলাম বাবার হাতের পুতুল তাইতো বিয়ের সময় কোন প্রতিবাদ করতে পারিনি। এখনো যদি বাবাকে যাই বলি তোমাদের জামাই আমাকে সন্দেহ করে মানসিকভাবে তাতে করে বাবা কোন দামই দেয়না। অনেকবার বিয়ে ভাংতে চাইছি কোন কাজ হয়নি। আর এখন আমার একটি বাচ্চা আছে।

আমার স্বামী আমাকে এখনো অনেক সন্দেহ করে আর সেই জিদে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটা করলাম। আমার মনের কষ্টগুলো আমি আমার দেবরের সাথে শেয়ার করতাম সবসময় সে আমাকে অনেক সান্ত্বনার বাণী শুনাতো। আমিও তাকে অনেক বিস্বাস করতাম এক কথায় সে ছিল আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। কথা শেয়ার করতে করতে কখন যে আমি তার প্রতি দুর্বল হয়ে গেলাম আমি নিজেও জানিনা। সে আমাকে যেমন ভালবেসেছে এমন ভালবাসা আমি আমার এই জীবনে কখনো পাইনি। এখানে একটা কথা আমার স্বামী আমাকে ভাত-কাপড়,সোনা-দানা,টাকা-পয়সা কোনদিক দিয়েই অভাবে রাখেননি। সব পেয়েছি শুধু পাইনি বিশ্বাস, ভালবাসা, একটুখানি সুন্দর কথা।

দেবরের সাথে কথা বলতে বলতে আমি তার প্রেমে পড়ে যাই। প্রায় ৮মাস পর আমরা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। গত ১বছর তার সাথে আমার একাধিক শারীরিক সম্পক হয়। কিন্তু গত ১ মাস ধরে সে আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছে আমার সাথে ঠিক মতন কথা বলেনা। আরেকটা কথা বলে রাখি সে বিবাহিত তারও ১টা বাচ্চা আছে।

তাকে দেখলে বোঝা যায় সে অনেক সুখে আছে। কিন্তু সে এটা আমার সাথে কী করলো। সে কি সত্যিই আমাকে ভালোবাসে নাকি আমাকে ইউজ করেছে? আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছিনা। এদিকে আমি একটু মন খারাপ করলে, তার সামনে না গেলে, না হাসলে সে তার বউয়ের সাথে ঝগড়া করে। আমি ঠিক থাকলে সেও ঠিক থাকে। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না আমি কী করবো অনেক চেষ্টা করছি অন্য জায়গায় বাসা নিতে, তার সামনে থেকে চলে যেতে। কিন্তু পারছিনা। কী করবো বলবেন কি? নিজেকে বড্ড অসহায় লাগছে। ইচ্ছে করছে মরে যেতে। আর পারছিনাৃ..”

পরামর্শ: দেখুন আপু, আমি আসলেই বুঝতে পারছি না আপনাকে কী পরামর্শ দেব। আপনি নিজেকে আসলেই অত্যন্ত জটিল অবস্থায় নিয়ে গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ৪ টি মানুষের জীবনকে একটা শঙ্কার মাঝে ফেলে দিয়েছেন আপনি ও আপনার দেবর। আপনার স্বামী, দেবরের স্ত্রী ও আপনাদের দুজনের দুটি বাচ্চা। আপনাদের এই পরকীয়া প্রেমের গল্প কখনো যদি জানাজানি হয়ে যায়, একবার ভেবেছেন কী হতে পারে? হ্যাঁ আপু, আপনার কাছে এটা ভালোবাসা মনে হলেও সমাজের চোখে এটা পরকীয়াই। হ্যাঁ, বেশী বয়সের লোকের সাথে বিয়ে দিয়ে বাবা অবশ্যই অন্যায় করেছেন আপনার সাথে। আপনার স্বামী যে আপনাকে সারাক্ষণ সন্দেহ করেন, সেটাও একটা মানসিক অত্যাচার নিঃসন্দেহে। কিন্তু আপু, আপনার স্বামী তো অন্য কোন দোষ নেই। তিনি কারো সাথে পরকীয়া করছেন না, আপনাকে মারধোর করছেন না, কোন প্রকাশ কষ্ট দিচ্ছেন না তাই না? পৃথিবীতে সবাই একভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে না। সবাই যে সিনেমার হিরোদের মত প্রেমের কথা বলবেন, এটা আশা করা অন্যায়।

বিশেষ করে স্ত্রী বয়সে ছোট হলে অনেক স্বামীই ভালোবাসা প্রকাশ করেন অতিরিক্ত শাসন ও সন্দেহ দিয়ে। কারণ তাদের ভয় অয়, স্ত্রী যদি তাদের ছেড়ে চলে যান বা পরকীয়া করেন। একটু অন্যভাবে ভাবুন আপু, স্বামী যে আপনাকে সন্দেহ করেন বা সারাক্ষণ আগলে রাখেন, সেটা সেই ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ হতে পারে। তাছাড়া আপনি যদি এতটাই বন্দী হতেন, তেমনটা হলে দেবরের সাথে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্কে আপনি জড়িয়ে যেতে পারতেন না। তাই না? সত্যি কথা বলি, দেবর আপনাকে ভালোবাসে না। আর সে খুব একটা ভালো মানুষ , এমনটা আশাও করে পারছি না। ভাবী মায়ের মত হয়, সেই মায়ের সাথে মানুষ কীভাবে পরকীয়া করে? আপনি না হাসলে সে কষ্ট পেয়ে বউয়ের সাথে ঝগড়া করে, এটা নিতান্তই আপনার কাল্পনিক ব্যাপার। দেবর সহানুভূতিশীল হয়ে সম্পর্ক করে ফেলেছে।

এখন সে এড়িয়ে যেতে চাইছে, সম্ভবত সে বুঝতে পেরেছে যে ভুল হয়ে গেছে। এখন আপনারও উচিত হবে এই বিষয়টি থেকে বের হয়ে আসা। স্বামীর সাথে কথা বলুন। মিথ্যা করে হলেও স্বামীকে বলুন যে আপনি তাকে ভালোবাসেন এবং জীবনে কিছু চান না তার কাছ থেকে একটু সময় ছাড়া। সম্ভব হলে কিছুদিন দূরে কোথাও বেড়িয়ে আসুন। স্বামীর সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান, দেখবেন আস্তে আস্তে দেবরের ভাবনা মন থেকে চলে যাচ্ছে। বিধাতা আপনাকে সব দিয়েছেন আপু, এই দেশের অনেক মেয়ের কাছেই এইটা স্বপ্ন। দয়া করে অলীক কল্পনায় সুখের সংসার ধ্বংস করবেন না। মানসিক অস্থিরতা খুব বেশী মনে হলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *