মহিলা যুবলীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার বাসা থেকে র্যাব-১ এর বিশেষ অভিযানে বিদেশি অস্ত্র, ম্যাগজিন, গুলি, বিদেশি মদ ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশত্যাগের সময় শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ, তার স্বামী সুমনসহ ৪ জনকে আটক করে র্যাব-১।
অসামাজিক কার্যকলাপসহ নানা অপকর্মের দায়ে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার যুব মহিলা লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা অপু উকিল ও সাধারণ সম্পাদক নাজমা আকতার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এই তথ্য জানানো হয়েছে।
Read More News
র্যাব জানায়, রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে প্রেসিডেন্ট স্যুট নিজের নামে সব সময় বুকড করে নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিলেন পাপিয়া। যিনি হোটেলটির বারে বিলবাবদ প্রতিদিন পরিশোধ করতেন প্রায় আড়াই লাখ টাকা।
বৈধ আয় অনুযায়ী পাপিয়ার বাৎসরিক আয় মাত্র ১৯ লাখ টাকা। অথচ হোটেল ওয়েস্টিনে শুধু গত তিন মাসেই বিল পরিশোধ করেছেন প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। যিনি নারী সংক্রান্ত অপকর্ম ছাড়াও অস্ত্র-মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন তদবির বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত।
তাদের আয়ের অরেকটি উৎস হচ্ছে নারীদের দিয়ে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করানো। তারা ঢাকাস্থ বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থান করে কমবয়সী মেয়েদের জোরপূর্বক অনৈতিক কাজে বাধ্য করে। যাদের অধিকাংশই নরসিংদী এলাকা হতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসা হয়। এসব অনৈতিক কাজে কেউ অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা তাদের বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।
এ ছাড়াও শামিমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন চৌধুরী এর নরসিংদী এলাকায় ‘কিউ অ্যান্ড সি’ নামক একটি ক্যাডার বাহিনী আছে। যাদের মাধ্যমে তারা নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, মাসোহারা আদায়, অস্ত্র ও মাদক কারবারসহ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য সকল প্রকার অন্যায় কাজের সাথে জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। তাদের এই ক্যাডার বাহিনীর অনেকের নাম এর মধ্যে জানা গেছে, যাদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।