সিরিয়া থেকে রাশিয়া সেনা প্রত্যাহার করছে

চমক দেখিয়ে সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযান শুরুর পাঁচ মাসের মধ্যে আকস্মিক এক ঘোষণায় মধ্য প্রাচ্যের দেশটি থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন।

সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উৎখাতে বিদ্রোহীদের তৎপরতার মধ্যে আইএস নির্মূল অভিযানে যোগ দিয়েছিল মস্কো। তবে তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।
Read More News

জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় সিরিয়ায় বিবাদমান দুটি পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনাকে সামনে রেখে ক্রেমলিনে গত সোমবার প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠকে পুতিন বলেন, সিরিয়ায় রাশিয়ার সেনা মোতায়েনের উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু হলেও কতদিনে প্রত্যাহার সম্পূর্ণ হবে, সে বিষয়ে সুনির্দি কোনো সময় রুশ প্রেসিডেন্ট দেননি। সিরিয়া থেকে অন্য সব সেনা প্রত্যাহার করা হলেও দেশটির তারতুস বন্দর ও লাটাকিয়া প্রদেশের হিমেইমিম বিমান ঘাঁটিতে সেনা থাকবে।

পেক্রমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, প্রেসিডেন্ট পুতিন ইতোমধ্যে সেনা প্রত্যাহারে রাশিয়ার নেওয়া সিদ্ধান্তের কথা বাশার আল আসাদকে টেলিফোনে জানিয়েছেন। পুতিন বলেন, আমাদের সেনা যথাযথ কাজে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করার অব্স্থা হয়েছে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আইএস’র মতো জঙ্গি দল দেশটিতে শেকড় গেঁড়ে শক্ত অবস্থানে চলে গেছে।

এ রকম পরিস্থিতিতে গত বছরের সেপ্টেম্বরে আসাদের সমর্থনে দেশটিতে সেনা মোতায়ন করে রাশিয়া। তাদের দাবি, সিরিয়ায় অবস্থিত আইএস’র বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে তারা। তবে যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিমা দেশ এবং আরব দেশগুলোর দাবি করে, রাশিয়া আইএস দমনের নামে আসলে আসাদের পক্ষে বিদ্রোহীদের উপর হামলা চালাচ্ছে।

কিছুদিন আগে জাতিসংঘের উদ্যোগে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ অবসানে ‘শান্তি আলোচনা’ শুরু হয়েছিল। কিন্তু বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোতে আসাদ বাহিনী অভিযান শুরু করলে ঐ আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়। এবার নতুন করে আবার শান্তি আলোচনার আগে এই সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিল রাশিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *