জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিশেষ আদালত আজ বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসার পরিবর্তে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যেখানে বন্দি, সেই পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বসতে যাচ্ছে।
এ উপলক্ষে সকাল থেকে কারাগার এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। কারাগারের সামনের সড়কে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নাজিমুদ্দিন রোডের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি। কারাগারের ফটকের সামনে নিরাপত্তা অন্যান্য দিনের চেয়ে আরো জোরদার করা হয়েছে। গলির মুখে মুখেও রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বন্ধ রয়েছে ওই এলাকার দোকানপাট।
সকাল থেকে কারাগারের সামনে অবস্থান নেন গণমাধ্যমকর্মী, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও নেতাকর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গাড়ি।
Read More News
আসামি ও বাদীপক্ষের আইনজীবীদের বলে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ছয়জন করে মোট ১২ জন কারা অভ্যন্তরে বসা আদালতে যেতে পারবেন। ছয়জন আইনজীবীর তালিকা জমা দেওয়ার জন্য আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজলকে বলা হয়েছে।
কারাগারে সাংবাদিকরা যেতে পারবেন তবে ক্যামেরা ও মোবাইল রেখে শুধু আইডি কার্ড নিয়ে যেতে পারবেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কারা অভ্যন্তরে আদালত বসা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। তবে একে ‘আইন পরিপন্থী’ বলেছেন বিএনপি ও তাঁর আইনজীবীরা।
আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালত থেকে নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের কক্ষ নম্বর ৭-কে অস্থায়ী আদালত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে সেখানেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হবে।’