বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সম্পূর্ণ নতুন বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘আকাশবীণা’ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। রোববার ‘ওয়াটার ক্যানন স্যালুটে’র মাধ্যমে ড্রিমলাইনারকে স্বাগত জানায় বিমান কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে বিমানটি গ্রহন করে। কোন যাত্রা বিরতি ছাড়াই টানা সাড়ে ১৪ ঘন্টা উড়ে ঢাকায় আসে পৌঁছান।
Read More News
আগামী ১ সেপ্টেম্বর ড্রিমলাইনারের প্রথম ফ্লাইট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন রাতে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর যাবে বিমানটি। আগামী এক মাস কুয়ালালামপুর ও ঢাকা সিঙ্গাপুর রুটে বানিজ্যিক ভাবে যাত্রা শুরু করবে বিমানটি।
ঢাকা সিঙ্গাপুর ঢাকা রুটে ইকোনমি ক্লাসের জন্য ভাড়া ২০০ মার্কিন ডলার এবং ঢাকা কুয়ালালামপুর ঢাকা রুটে ইকোনমি ক্লাসের জন্য ২৯০ মার্কিন ডলার ভাড়া নির্ধারন করা হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাঠানো সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫টি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য দুই দশমিক এক বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে। এরইমধ্যে চারটি নতুন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ও দুটি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে। বাকী চারটি উড়োজাহাজ-ই বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রীমলাইনার। এর প্রথমটি আজ দেশে এসেছে, দ্বিতীয়টি এ বছর নভেম্বর এবং সর্বশেষ দুটি ড্রীমলাইনার বিমান বহরে যুক্ত হবে আগামী বছর সেপ্টেম্বর মাসে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে বহরে যুক্ত হতে যাওয়া চারটি ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো হলো আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস।
আকাশবীণায় আসন সংখ্যা থাকছে ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরমদায়কভাবে স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিমানটিতে যাত্রীরা ইন্টারনেট ও ফোন কল করার সুবিধা পাবেন।