খালেদা জিয়া-গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ মামলার প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করেন।

একই সঙ্গে আদালত আগামী ৭ আগস্ট গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন।
Read More News

মামলার বাদী বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গত ৯ জুলাই খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক জাফর আলী। এদিন (বুধবার) আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

আজকে বলা হয়, এতো শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে। অপরদিকে একই বছরের জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন, তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন।

আর আমাদের মতো নির্বোধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসাবে তাদের ফুল দেই। আবার না গেলে পাপ হয়। তারা (শহীদ বুদ্ধিজীবী) যদি বুদ্ধিমান হতেন তবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজ ঘরে থাকলেন কেন? তাদের ওই বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, যা মানহানিকর।

এ অভিযোগে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *