ফ্রান্সের বিপক্ষে এগিয়ে ছিল লাতিন আমেরিকার দেশটি। অবশ্য সব পরিসংখ্যানকে পেছনে ফেলে লিওনেল মেসির দলের বিপক্ষে বেশ দুর্বার ছিল এমবাপে-গ্রিজম্যানরা। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ আধিপত্য বিস্তার করে ৪-৩ গোলে জয় তুলে নিয়েছে ফ্রান্স।
আজ শনিবার কাজানে অনুষ্ঠিত ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপের জোড়ো গোলে এই দারুণ জয় তুলে নিয়েছে ফ্রান্স। এই জয়ের সুবাদে প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের ১৩ মিনিটেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স। পেনাল্টি থেকে আতোয়োন গ্রিজম্যান এগিয়ে দেন দলকে। মাঝ মাঠ থেকে পাওয়া একটি বল নিয়ে এমবাপে দ্রুতগতিতে বল নিয়ে ঢুকে পড়ে আর্জেন্টিনার সীমানায়। বক্সের মধ্যে তাঁকে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান।
Read More News
এর আগে নবম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়না, বক্সের বাইরে থেকে পল পগবার চমৎকার শট ক্রসবারে লেগে ফিরে না আসলে গোল হতেও পারতো।
অবশ্য প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার চার মিনিট আগে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া বক্সের সামনে থেকে আচমকা এক শটে পরাস্ত করেন ফ্রান্স গোলরক্ষককে। তাঁর অসাধারণ শট হুগো লরিস কিছু বুঝে ওঠার আগেই বল ঠিকানা খুঁজে পায় জালে। তাই ম্যাচ চলে যায় সমতায় (১-১)।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়েও যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল মার্সাডো দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি। বক্সের মধ্যে মেসির একটি শট, মার্সাডোর পায়ে লেগে বলটি জালে জড়ায়।
পিছিয়ে পড়ে ফ্রান্স যেন আরো দুর্বার হয়ে ওঠে। পরের ১১ মিনিটে তিনটি গোল আদায় করে আর্জেন্টিনাকে রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে ছাড়ে ইউরোপের দলটি। এর মধ্যে দুটি গোলই আসে এমবাপের পা থেকে।
৫৭ মিনিটে ফ্রান্সের পক্ষে সমতা ফেরানো গোলটি করেন বাঁজামাঁ পাভার্দ (২-২)। ৬৪ মিনিটে কোনাকুনি শটে গোল করে এমবাপে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন (৩-২)। চার মিনিট পর এমবাপের ব্যক্তিগত দ্বিতীয় এবং দলের পক্ষে চতুর্থ গোল করে ফ্রান্সকে জয়ের সুবাতাস পাইয়ে দেন।
অবশ্য ইনজুরি সময়ে বদলি স্ট্রাইকার আগুয়েরো আর্জেন্টিনার পক্ষে তৃতীয় গোল করলেও হার এড়াতে পারেননি। তাই শেষ পর্যন্ত শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নেয় মেসির দল।
Sildenafilgenerictab News Bangla News Paper