আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ইউনিসেফ। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত প্রিয়াঙ্কার অভিজ্ঞতার কথা জানাতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ইউনিসেফ। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া রোহিঙ্গা শিশুদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। শিশুদের সহযোগিতা করার জন্য সবার প্রতি আহবানও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অসহায় রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বাংলাদেশের আতিথেয়তার প্রশংসা করে প্রিয়াঙ্কা জানান, তিনি বাংলাদেশে ‘মিঠাস’ দেখেছেন।
প্রিয়াঙ্কা নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘আমি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিশুদের সঙ্গে কাটিয়েছি। ওদের আঁকা ছবি দেখেছি। সাত বছরের একটা শিশু ছবি এঁকেছিল। সেখানে আছে শিশুরা একটি মাঠে খেলছে। আর উপর থেকে বোমা মারা হচ্ছে। রকেট লঞ্চার মারা হয়েছে। মাথা বিচ্ছিন্ন, হাত বিচ্ছিন্ন, পা বিচ্ছিন্ন। শিশুরা এটা মনে রেখেছে।’
Read More News
ভারত সরকারকে এ ব্যাপারে কিছু জানাবেন কিনা জানতে চাইলে প্রিয়াঙ্কা জানান, ‘আমি শিশুদের পক্ষে এখানে এসেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি যখন রাজনীতিবিদ হব, তখন সব করব। এ মুহূর্তে আমি ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত। এখন আমি শিশুদের প্রতি দায়িত্ববান হওয়ার জন্য সবাইকে বলছি। কিন্তু আমি যখন প্রধানমন্ত্রী হব, তখন দেখবেন!’
মিয়ানমারের অবস্থান প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে প্রিয়াঙ্কা বলেন, এটা রাজনৈতিক সমস্যা। এ নিয়ে আমার উত্তর নেই। কিন্তু মানবিক বিষয়ে আমার বলার আছে।
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে যদি কোনোদিন চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তবে এর নাম কী দেবেন জানতে চাইলে প্রিয়াঙ্কা সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেন, ‘সারভাইভাল।’
সংবাদ সম্মেলনের আগে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।