বাঙালির প্রাণের আর মনের মিলন ঘটার দিন আজ৷ বাঙালি ১৪২৫ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিচ্ছে সব বিভেদ, জরা আর দুঃখ ভুলে৷ যা কিছু পুরনো আর জীর্ণ- তাকে বাদ দিয়ে বাঙালি গাইছে নতুনের গান৷ প্রার্থনা একটাই- জাতি যেন পরাভূত করতে পারে সকল অশুভ শক্তি। চৈত্রের রুদ্র দিনের পরিসমাপ্তি শেষে আজ বাংলার ঘরে ঘরে নতুন বছরকে আবাহন জানাবে সব বয়সের মানুষ। বাঙালির জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন বৈশাখের প্রথম দিন।
বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরের প্রথম সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রমনার বটমূলে ছায়ানটের শিল্পীদের পরিবেশনায় বর্ষবরণের মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।
Read More News
সকাল থেকে মানুষের উপস্থিতি কম থাকলেও মঙ্গল শোভাযাত্রার পর মানুষের আগমনে ঢাবির সর্বত্র বৈশাখের উচ্ছ্বাস পরিলক্ষিত হয়। ক্যাম্পাসের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), রাজু ভাস্কর্য, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর, হাকিম চত্বর, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বর, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ চত্বর, ডাকসু, কলা ভবন, মল চত্বরসহ সব জায়গা ছিলো বাংলা নববর্ষ বরণ করতে আসা দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও ছিল মানুষের সরব উপস্থিতি।
ছেলেদের বৈশাখের রঙে রঙিন পাঞ্জাবি আর মেয়েদের শাড়িই জানান দিচ্ছে বৈশাখের উপস্থিতি। ছোটদের গালেও লেখা ‘শুভ নববর্ষ’। এছাড়া বিভিন্ন বয়সী মানুষেরা এসেছেন বৈশাখী সাজে। তারা ক্যাম্পাস ঘুরে ঘুরে দেখছেন, কেউ বসে আড্ডা দিচ্ছেন। আবার অনেকে বৈশাখী অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন।
অপরদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ বর্ষবরণের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তবে সবকিছু কাটিয়ে বর্ষবরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো ছিল।