বাংলা সন ১৪২৫ বরণ করে নিতে কমতি ছিলো না বাংলার বাঙালিদের। রৌদ্র উজ্জ্বল আবহে শুরু দিনটি’র শেষ কালবৈশাখীর মধ্যদিয়ে। পহেলা বৈশাখে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। বিকাল ৫টায় হাঠাৎ শিলাবৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি কারণে বিনোদনমুখী মানুষদের চরম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে।
পুরান সব গ্লানি ভুলে সকাল থেকেই নানা আয়োজনে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। এর মধ্যে যেমন ছিলো শতবর্ষী মঙ্গল শোযাত্রা তেমনই নিজ নিজ জায়গা থেকে নতুন বছর উদযাপনে বিভিন্ন প্রয়াস।
Read More News
অতীতের আলোকে এবার সকল অপ্রীতিকর ঘটনা সমাল দিতে সরকারের পক্ষ থেকে আগে থেকেই ঘোষণা ছিলো: বিকাল পাঁচটার আগেই বর্ষবরণের সকল আয়োজন শেষ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও টিএসসি এলাকা জনসাধারনের ছেড়ে যেতে হবে। কিন্তু তার আগেই কোন ঘোষণা ছাড়া শুরু টুপটাপ বৃষ্টি। এই বৃষ্টি যেমন এলো আশীর্বাদ হয়ে আবার আবার কারও কারও জন্য আক্ষেপেরও।
হঠাৎ বৃষ্টিতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে অনেককেই। বিশেষ করে রাজধানীর হাতিরঝিলসহ বিভিন্ন জায়গায় যারা ঘুরতে বেরিয়েছেন। কিশোর থেকে বৃদ্ধ সকলকে ভিজিয়ে দিয়ে গেছে। তবে কষ্টে পড়েছেন নারীরা। বৈশাখী সাজ ভেসেছে বৃষ্টিতে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে সন্ধ্যার পর ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতেও বৃষ্টির পাশাপাশি কালবৈশাখির দমকা হওয়া ছুঁয়েছে। এজন্য নৌবন্দর গুলোকে ২নং সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এর মধ্যে কালবৈশাখির সম্ভাবনা রয়েছে ঢাকা বিভাগের ঢাকা, নরসিংদী গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, ফরিদপুর, কুমিল্লা ও সিলেট জেলায়।