স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে কয়েক বছর ধরেই এমন নির্দেশনা থাকছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা যদি সাময়িকভাবে প্রতিরোধমূলক হয়ে থাকে তাহলে হতেই পারে, কিন্তু যদি এটাই সরকার নিয়মের অংশ করে ফেলে তবে দেশের উৎসব, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তবে, পয়লা বৈশাখে বিকাল ৫টার মধ্যে সব ধরনের উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক আয়োজন বন্ধের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পক্ষে স্বয়ং সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, যারা ঘর থেকে বের হতে যাচ্ছেন, আমরা তাদের ঘরে ঢোকাতে চেষ্টা করছি। উপরন্তু যাদেরকে আমরা দমন করতে চাচ্ছি, তারাই এ সুযোগে প্রকাশ্যে তাদের কর্মকাণ্ড চালাতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
দেশের ঐতিহ্য ও মানুষের চাওয়া পাওয়া দেখতে হবে জানিয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড. জিয়া বলেন, সাময়িকভাবে বিষয়টা ঠিক আছে, এটাকে আমরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ধরতে পারি। মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে যদি এটা করা হয় তাহলে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদি বা নিয়মিত করে ফেললেই সমস্যা।
Read More News
পুলিশের আইজিপি বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় শপিং সেন্টার, মার্কেট, বাজার, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহে নববর্ষের হালখাতা অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে অপপ্রচার চালিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এবং নাশকাতাকারীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানো হবে। জরুরি উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রস্তুত থাকবে র্যাবের হেলিকপ্টার।