প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন উন্নয়নের জন্য নারী-পুরুষের সমান অবদান প্রয়োজন। তাই যে ভাবেই হোক নারীদের নিজের কর্মসংস্থান করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। তাহলেই পরিবার ও সমাজে নারীদের মর্যাদা বাড়বে দাম পাবে। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন বর্তমান সরকারও নারীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাই নারীরা সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাক। অধিকার মর্যাদায় নারী-পুরুষ সমান উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা আমাদের যে সংবিধানে দিয়ে গেছেন সেখানে সবার কথাই বলা আছে। সেখানে তিনি নারীর অধিকারের কথা বার বার বলেছেন। সংবিধানের ১৯ ও ২৮ অনুচ্ছেদের তা তিনি নিশ্চিত করে দিয়ে গেছেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতিত মা-বোনকে স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন মুক্তিযুদ্ধের পরে আমাদের দেশের অনেক মা-বোনেরা বিভিন্ন অসুখে ভুগছিলেন। বঙ্গবন্ধু বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে তাদের চিকিৎসা করিয়েছেন। নারীর পুনর্বাসন বোর্ড করে দিয়েছেন। সেই নারীদের বীরাঙ্গনা খেতাব দিয়েছেন। অনেককেই সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শুধু তাই নয় অনেককে বিয়ের ব্যবস্থাও করেছিলেন। তিনি আরও বলেন অসুস্থ ওই নারীদের সব পিতা-মাতা গ্রহণ করতে চায়নি। কাজেই অনেকেই হয়তো পরিচয় দিতে চায়নি। তখন প্রশ্ন এসেছিল এদের বিয়ে দিতে গেলে বাবার নাম কী লেখা হবে? জাতির পিতা বলেছিলেন লিখে দাও বাবার নাম শেখ মুজিবুর রহমান। বাড়ির ঠিকানা ধানমণ্ডি-৩২ নম্বর। সে ভাবেই আমার মা দাঁড়িয়ে থেকেও অনেককে বিয়ে দিয়ে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন একটি সমাজের উন্নয়ন করতে হলে পূর্ণাঙ্গভাবেই করতে হয়।
Read More News
সেখানে প্রায় অর্ধেকের বেশি নারী। সমাজের একটি অংশকে অবহেলিত রেখে আরেকটি অংশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। মানবদেহের একটা অংশ পঙ্গু হয়ে গেলে আরেকটি অংশ নিয়ে চলাফেরা কত কষ্টের সেটা সবাই উপলব্ধি করতে পারেন। সেই বিবেচনা করেই আমাদের সবাইকে এগুতে হবে। চিন্তা করতে হবে সমাজের সবাইকে একসঙ্গে উন্নয়ন করব। তিনিন বলেন আমাদের ইসলাম ধর্মই একমাত্র ধর্ম । সেখানে একজন নারীই প্রথম ধর্ম গ্রহণ করেছে। তিনি বিবি খাদিজা। ধর্মের নাম নিয়ে কখনও কাউকে পেছনে ফেলে দেওয়ার সুযোগ নেই। ইসলাম ধর্মই নারীদের সমান সুযোগ দিয়েছেন। স্বামীর সম্পদে যেমন অধিকার তেমনি পিতার সম্পদেও অধিকার রয়েছে। এটা একমাত্র ইসলাম ধর্মেই দেওয়া আছে। অন্য কোনো ধর্মে নাই। তিনি বলেন বিবি খাদিজা যখন ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন তখন তিনি ব্যবসা বাণিজ্য করতেন। দেশ-বিদেশে ঘুরতেন। কাজেই আমাদের সামনে দৃষ্টান্ত রয়েছে। আমাদের ঘাবড়াবার কিছু নেই। ইসলাম ধর্মের জন্য জিহাদ হয়েছে সেই জিহাদে প্রথম শহীদ তিনি একজন নারী সুমাইয়া। নবী করিম (সা.) এর সঙ্গে বিবি আয়শা রণক্ষেত্রে যেতেন। পাশাপাশি থাকতেন, প্রেরণা দিতেন। সুতরাং আমাদের ইসলাম ধর্মে যে গৌরবের ইতহাস রয়েছে। এটা আমাদের জানতে হবে।