মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি’র বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন আইনজীবীর মামলার আবেদনে সম্মতি দেননি দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল। এর ফলে আবেদনটি খারিজ হয়ে গেছে।
অস্ট্রেলিয়ায় সর্বজনীন বিচার ব্যবস্থার অধীনে কোনো মামলা করতে হলে অ্যাটর্নি জেনারেলের সম্মতি প্রয়োজন। এ কারণে শুক্রবারই অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান পোর্টারের কার্যালয় বরাবর আনুষ্ঠানিক আবেদন পাঠানো হয়, যেন মামলাটি দায়েরের বিষয়ে তিনি সম্মতি দেন।
Read More News
কিন্তু পোর্টার রোববার ওই আবেদনে সম্মতি জানাতে অস্বীকার করে বলেন, সু চি’র বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে কোনো ধরণের মামলাই করা যাবে না।
গণমাধ্যমকে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যে কোনো ধরণের মামলা থেকে সু চি সম্পূর্ণ নিরাপদ। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা যাবে না। তাকে গ্রেপ্তার বা আটক রাখা যাবে না। এমনকি আদালতের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থাও নেয়া যাবে না।
কারণ হিসেবে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো দেশের পক্ষ থেকে করা অপরাধের অভিযোগে মামলা বা আইনি প্রক্রিয়া চালানো নিষিদ্ধ। এই আইন কোনোভাবেই অমান্য করা সম্ভব নয়।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দিনশেষে মেলবোর্নের ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টে অং সান সু চি’র বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রাইভেট প্রসিকিউশনের ওই আবেদন দাখিল করেন মেলবোর্নের ব্যারিস্টার ও ফেডারেল কোর্টের সাবেক বিচারক রন মেরকেল কিউসি, দুই আন্তর্জাতিক বিষয়ক আইনজীবী ম্যারিয়ন ইসোবেল ও রেইলিন শার্প এবং সিডনির মানবাধিকার বিষয়ক দুই আইনজীবী অ্যালিসন ব্যাটিসন ও ড্যানিয়েল টেইলর।
বর্তমানে সু চি আসিয়ান সম্মেলনের জন্য সিডনিতেই অবস্থান করছেন।